জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দেশের এক নম্বর ফুটবল লিগে ২০২০ থেকে অংশ নিলেও গত দুই মরশুম ধরে নিজেদের ঐতিহ্য ও সুনাম বজায় রেখে খেলতে পারছে না কলকাতার ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal Team)। দু’বারই লিগ টেবলের নীচের দিকে থেকেছে তারা। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাব ও দলগঠনে পরিকল্পনার অভাবের ফল ভোগ করতে হয়েছে তাদের। এ বারও যে খুব তাড়াতাড়ি দল গড়ার কাজে বা প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে তারা, তাও নয়। তবে এ বার একজন দুর্দান্ত কোচের হাতে পড়েছে দলটি, যিনি একসময় ছিলেন ভারতীয় দলেরও কোচ।
ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন যে কতটা শৃঙ্খলাপরায়ণ ও ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন, যারা ভারতীয় ফুটবল নিয়ে খবরাখবর রাখেন, তাঁরা তা খুব ভাল করেই জানেন। তাই কনস্টান্টাইনকে দায়িত্ব দিয়ে কিছুটা স্বস্তিই পেয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। যদিও মরশুমের শুরুটা খুব একটা ভাল করতে পারেনি স্টিফেনের লাল-হলুদ বাহিনী। কিন্তু মরশুম যত এগোবে, তত ভাল পারফরম্যান্সের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে মরশুমের উদ্বোধনী টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপে। চারটি ম্যাচ খেলে একটিতে জিতেছে তারা ও দুটিতে ড্র করেছে। হেরেছে মাত্র একটিতে। চার গোল দিয়ে চার গোল খেয়েছে। রানার্স-আপ মুম্বই সিটি এফসি-কে গ্রুপ ম্যাচে ৪-৩-এ হারায় তারা। সেই ম্যাচেই এ মরশুমে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় ইস্টবেঙ্গল এফসি।
গত দুই মরশুমে: ২০২০-২১: লিগ টেবলে ৯ নম্বরে। ২০২১-২২: লিগ টেবলে ১১ নম্বরে (সর্বশেষ)।
দল কেমন হল?
এক ঝাঁক ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়ে এই মরশুমের আগে আর এক ঝাঁক ফুটবলারকে সই করিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই তালিকা নীচেই দেওয়া হল। তবে আশা করা যায়, এ বার যে বিদেশি ফুটবলাররা এই ক্লাবে সই করেছেন, তাঁরা আগের দুই মরশুমে যোগ দেওয়া বিদেশিদের চেয়ে ভাল পারফরম্যান্স দেখাবেন। কারণ, এঁদের অনেকেই হিরো আইএসএলে পরীক্ষিত। যেমন ক্লেটন সিলভা, অ্যালেক্স লিমা, ইভান গঞ্জালেজ।
দেশীয় ফুটবলারদের মধ্যে থেকেও এমন খেলোয়াড়দের নেওয়া হয়েছে, যাঁদের এই লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেমন মোবাশির রহমান, অনিকেত যাদব, ভিপি সুহের, কমলজিৎ সিং, জেরি লালরিনজুয়ালা, শৌভিক চক্রবর্তী। ডুরান্ড কাপে যে রকম দেখা গিয়েছে, তা বিশ্লেষন করে মনে হতে পারে স্টিফেন সম্ভবত সামনে ক্লেটন সিলভা ও তাঁর পিছনে সুহের, পাসি ও ভারতে নতুন আসা অস্ট্রেলিয়ান মিডফিল্ডার জর্ডান ডো’হার্টিকে রেখে আক্রমণ বিভাগ সাজাতে পারেন। মাঝমাঠে হয়তো দেখা যাবে অ্যালেক্স লিমা ও শৌভিক চক্রবর্তীকে এবং রক্ষণ সামলাতে তিনি মূলত ভরসা করবেন গঞ্জালেজ, লালচুঙ্গুঙ্গা, জেরি ও মহম্মদ রকিপের ওপর।
স্বাগত: এলিয়ান্দ্রো, আলেক্স লিমা, ক্লেটন সিলভা, চারালাম্বস কিরিয়াকু, ইভান গঞ্জালেজ, জর্ডান ও’ডোহার্টি, ভিপি সুহের, সুমিত পাসি, জেরি লালরিনজুয়ালা, শৌভিক চক্রবর্তী, শুভাশিস রায়চৌধুরি, কমলজিৎ সিং, নবীন কুমার, পবন কুমার, আদিত্য পাত্র, নাওরেম মহেশ, অনিকেত যাদব, সার্থক দলুই, মোবাশির রহমান, তুহিন দাস, মহম্মদ রকিপ, প্রীতম সিং, লালচুঙ্গুঙ্গা, নবি হুসেন খান।
বিদায়: হীরা মন্ডল, শঙ্কর রায়, অরিন্দম ভট্টাচার্য, রোমিও ফার্নান্ডেজ, সেরিনিও ফার্নান্ডেজ, মহম্মদ রফিক, ড্যানিয়েল গোমস, আন্তোনিও পেরোসেভিচ, ড্যারেন সিডোল, ফ্রানিও পর্শে, ফ্রান সোতা, জয়নার লরেঙ্কো, সোংপু সিঙসিট, বলওয়ান্ত সিং, লালরিনলিয়ানা হ্নামতে, সেম্বয় হাওকিপ, বিকাশ জায়রু, সৌরভ দাস, শুভম সেন, অনন্ত তামাং, লোকেন মিতেই, রাজু গায়কোয়াড়, রাহুল পাশোয়ান।
ইস্টবেঙ্গল দল: গোলকিপার— কমলজিৎ সিং, নবীন কুমার, পবন কুমার। ডিফেন্ডার— অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়, চেরিস কিরিয়াকু, ইভান গঞ্জালেস, জেরি লালরিনজুয়ালা, লালচুংনুঙ্গা, মহম্মদ রাকিপ, নবি খান, সার্থক গোলুই, প্রীতম সিং, তুহিন দাস। মিডফিল্ডার— অ্যালেক্স লিমা, অমরজিৎ কিয়াম, অঙ্কিত যাদব, জর্ডন ও’দোহেত্রি, মোবাশির রহমান, সৌভিক চক্রবর্তী, ওয়াহেংবাম লুয়াং। ফরোয়ার্ড— ক্লেটন সিলভা, এলিয়ান্দ্রো ডস স্যান্টোস, হিমাংশ জাংড়া, নাওরেম সিং, সুহের, সুমিত পাসি, হাওকিপ। হেড কোচ— স্টিফেন কনস্টানটাইন
বিস্তারিত সূচি: অক্টোবর ৭- কেরালা ব্লাস্টার্স, ১২- এফসি গোয়া, ২০- নর্থইস্ট ইউনাইটেড, ২৯- এটিকে মোহনবাগান, নভেম্বর ৪- চেন্নাইন এফসি, ১১- বেঙ্গালুরু এফসি, ১৮- ওডিশা এফসি, ২৭- জামশেদপুর এফসি, ডিসেম্বর ৯- হাদরাবাদ এফসি, ১৬- মুম্বই সিটি এফসি, ৩০- বেঙ্গালুরু, জানুয়ারি ৭- ওডিশা, ১৩- জামশেদপুর, ২০- হায়দরাবাদ, ২৬- গোয়া, ফেব্রুয়ারি ৩- কেরালা, ৮- নর্থইস্ট, ১২- চেন্নাইন, ১৯- মুম্বই এবং ২৫- এটিকে মোহনবাগান।
(লেখা ও ছবি আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google