শেষরক্ষা হলো না তবে হারলেও মোহনবাগানের একঝাঁক তরুণ দেখিয়ে দিল তাঁরাও পারে। সুপার কাপ ২০২৫-এ মোহনবাগান খেলতে নেমেছিল একজন বিদেশি নিয়ে সেখানে অন্য দলগুলোর কাছে ৫-৬ জন বিদেশি। পুরো আইএসএল-এর দল নিয়েই নেমেছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে অসাধারণ লড়াইয়ের নজির রাখলেন আশিক কুরুনিয়ান, সাহাল আব্দুল সামাদরা। কিন্তু ত্রিমুকুটের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল সেমিফাইনালে গোয়ার কাছে ১-৩ গোলে হারের সঙ্গেই।
সুপার ১৬-র ম্যাচে মোহনবাগানকে খেলতে হয়নি চার্চিল ব্রাদার্স নাম তুলে নেওয়ায়। বাই পেয়ে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের। সেখানেই দেখা গিয়েছিল প্রায় পুরো মরসুম বেঞ্চে বসে থাকা একঝাঁক তরুণ তুর্কিকে। সঙ্গে সাহাল, দীপক, দীপেন্দুদের মতো আইএসএল খেলা কয়েকজন। আর তাতেই বাজিমাত করে কেরালাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান।
কোয়ার্টার ফাইনাল দেখে তাদের ঘিরে প্রত্যাশাও বেড়ে গিয়েছিল অনেক গুন। শুরুটাও ভালই করেছিল। পিছিয়ে পড়ে তিন মিনিটের মধ্যে সমতায় ফিরেছিল সুহেল ভাটের গোলে। প্রথমার্ধ ১-১ গোলেও শেষ হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে গোলকিপার ধীরে কুমারের দুটো ভুল ফিরিয়ে দিল মোহনবাগানকে।
তাঁর অকারণ ফাউল পেনাল্টি পাইয়ে দিয়েছিল গোয়াকে। সেখান থেকেই দ্বিতীয় গোল করে এগিয়ে যান আইএসএল সেমিফাইনালিস্টরা। আত তৃতীয় গোল লেখা থাকবে সুপার কাপ তথা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে। যা বোরহা হেরেরা সরাসরি কর্নার থেকে করলেন। এই সময়ও সঠিক জায়গায় ছিলেন না ধীরজ। সব মিলে আশা জাগিয়েও একরাশ হতাশা নিয়েই ফিরতে হচ্ছে আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের।