হুক্বা বারে শোয়েব মালিক, পাকিস্তানের হারে ভিলেন তিনি

হুক্বা বারে শোয়েব মালিক

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হুক্বা বারে শোয়েব মালিক জানাজানি হতেই পাকিস্তানে খলনায়ক শোয়েব তিনি। ভারতের কাছে হারের পর পাক সমর্থকদের যাবতীয় রাগ এখন তাঁর ওপর। কারণ?‌ ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের আগের রাতে হুক্কা (‌‌হুকা)‌‌ বারে গিয়েছিলেন শোয়েব। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সানিয়া মির্জা। ছিলেন পাকিস্তান দলের আরও দুই ক্রিকেটার ওয়াহাব রিয়াজ এবং ইমাম–উল–হকও।

হুক্কা বারে হালকা মেজাজে শোয়েব–সানিয়া বসে, এরকম দুটি ভিডিও টুইটারে ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল হয়ে যায়। চলতি বিশ্বকাপে মোটেই ছন্দে নেই শোয়েব। তারওপর এই কাণ্ড আগুনে ঘি ঢেলেছে। একের পর এক বার্তা পোস্ট করতে থাকেন সাধারণ সমর্থকরা। কারও দাবি রাত দুটোর সময় ওই হুক্কা বারে বসেছিলেন শোয়েব–সানিয়া। আবার কেউ কেউ দাবি করেছেন, মহারণের আগের রাতে পিৎজা, বার্গারও খেয়েছেন শোয়েব!‌ এক পাক সমর্থক টুইট করেন, ‘‌এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে রাত ২টোর সময় হোটেলের বাইরে শোয়েব মালিক!‌ বার্গার, মিষ্টি কিছুই বাদ নেই খাদ্য তালিকায়!‌ ওল্ড ট্র‌্যাফোর্ডে পাকিস্তান কেন এত খারাপ খেলেছে, এবার বুঝতে পারছি। লজ্জা হওয়া উচিত।’‌

এদিকে শোয়েব মালিকের হয়ে সাফাই গেয়েছেন স্ত্রী সানিয়া মির্জা। টুইট করেন, ‘‌যে বা যাঁরা ভিডিওটি তুলেছেন, তাঁরা আমাদের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। একটা ছোট্ট বাচ্চা সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও, আমাদের ব্যক্তিগত জায়গা লঙ্ঘন করেছেন!‌ ম্যাচ হারলে কি ডিনার করা বা আউটিংয়ে যাওয়া যাবে না?‌ যত্তসব বোকার দল। পরেরবার ভাল কিছু ভিডিও বা বিষয় পোস্ট করার চেষ্টা করবেন।’‌

শোয়েব টুইট করে বিষয়টি পুরনো বলে জানিয়েছে, দেখুন

পরিস্থিতি মাত্রা ছাড়ানোর আগে আসরে নামে পিসিবি। পাক বোর্ড জানিয়েছে, ‘‌ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দু’‌দিন আগের। ম্যাচের আগের রাতে দলের সব প্লেয়ার হোটেলের রুমেই ছিল। কারফিউ টাইম জারির আগে।’‌

এদিকে আরেক শোয়েব, মানে শোয়েব আখতার পাক অধিনায়ক সরফরাজকে, ‘‌মাথা মোটা ক্যাপ্টেন’‌ বললেন। আগেও সরফরাজের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেছেন, ‘‌টস জেতা মানে ম্যাচে অর্ধেক এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু সরফরাজ কী করল?‌ বুদ্ধিশুদ্ধির ছাপ নেই ওর ক্যাপ্টেন্সিতে। যত বলছি, মস্তিষ্কের ব্যবহার করো। সরফরাজ উল্টোটা করছে।’‌ ‌

ভারতের কাছে বিশ্বকাপে সাতবার হারের পর পাক সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হলেও টুইটে কিন্তু তাঁরা বাজিমাত করেছেন। ভারতীয় সমর্থকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

এক পাক সমর্থক লিখেছেন, ‘চাই, ‌মৃত্যুর পর সরফরাজ বরং আমাকে কবর দিক। যাতে আরও একবার আমাকে মাটিতে মেশাতে পারে।’‌ আরেকজন লিখেছেন, ‘‌ডলারের দর আর ভারতের রান আটকানো— কোনও কিছুর ওপরই আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই।’‌ এক পাক সমর্থক আরও একধাপ এগিয়ে লিখেছেন, ‘‌দেশ ভাগ না হলে, আমরা বারবার এভাবে লজ্জায়ও পড়তাম না।’‌ ‌‌‌

(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)