জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আইপিএল কোয়ালিফায়ার ২-এ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম কোয়ালিফায়ার্সে মুম্বইয়ের কাছে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল দিল্লিকে। দ্বিতীয় সুযোগ ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের। যেখানে শ্রেয়াস আইয়ারের দল প্রথম থেকেই লড়াই শুরু করেছিল ফাইনালের লক্ষ্যে। একদিন আগেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার ২-এ খেলার সুযোগ করে নিয়েছিলেন ওয়ার্নাররা। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শেষ লড়াই কঠিন হয়ে যায় তাদের। সঙ্গে রাবাডার বলের দাপটে ১৭ রানে হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে আইপিএল ২০২০ ফাইনালে মুম্বইয়ের মুখোমুখি দিল্লি।
রবিবার আবু ধাবিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। ২০০ রানের গণ্ডি পেরতে না পারলেও লড়াই করার মতো লক্ষ্য রাখতে সক্ষম হন শ্রেয়াসরা। মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৮৯ রান তুলে দেন দিল্লি ব্যাটসম্যানরা।
দুই ওপেনার মার্কাস স্তইনিস ৩৮ রান করে আউট হন। আর এক ওপেনার শিখর ধাওয়ান তাঁর সেরাটা দেন এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। ৫০ বলে ছ’টি বাউন্ডারি ও দু’টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
তিন নম্বরে নেমে ব্যাট হাতে এদিনও সফল হননি অধিনায়ক শ্রেয়াস। মাত্র ২১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। এর পর বাকি কাজ করে দেন শিমরন হেটমেয়ার। ২২ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ঋষভ পন্থকে বিশেষ কিছু করতে হয়নি। ২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
হায়দ্রাবাদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন সন্দীপ শর্মা, জেসন হোল্ডার এবং রশিদ খান। বোলাররা তেমন সাফল্য পাননি। ১৯০ রানের লক্ষ্যে নেমে হতাশ করেন দলের তিন সেরা ব্যাটসম্যান। প্রিয়ম গর্গ ১৭, ডেভিড ওয়ার্নার ২ ও মণীশ পাণ্ড্যে ২১ রান করে আউট হে যান। সেখান থেকেই দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরার চেষ্টা করেন কেন উইলিয়ামস।
চার নম্বরে নামা উইলিয়ামসন একা লড়াই চালিয়ে গেলেও উল্টোদিকে তেমনভাবে সমর্থন পাননি। পাঁচ নম্বরে নামা জেসন হোল্ডার ১১ রান করেই আউট হয়ে যান। এর পর উইলিয়ামসনের সঙ্গে লড়াই শুরু করেন আবদুল সামাদ। নতুন করে ফাইনালের গন্ধ পেতে শুরু করে হায়দ্রাবাদ। কিন্তু কাগিসো রাবাডার বলের দাপটে সেই স্বপ্ন আর সত্যি হল না। দিল্লির হয়ে চার উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা। তিন উইকেট নেন মার্কাস স্তইনিস। এক উইকেট অক্ষর প্যাটেলের।
কেন উইলিয়ামসন ৬৭, সামাদ ১৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। সামাদকে ফেরানোর পরের বলেই রশিদকে ফেরান রাবাডা। ১১ রান করেন রশিদ। হ্যাটট্রিক বল মিস করলেও তার পরের বলে রানের খাতা খুলতে না দিয়ে শ্রীবৎস গোস্বামীকেও ফিরিয়ে দেন রাবাডা। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানে শেষ হয় হায়দ্রাবাদ।
(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)