জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আইএসএল ২০২০-২১, মুম্বই সিটি এফসি বনাম এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচেও ঘুরে দাঁড়ানো হল না লাল-হলুদ ব্রিগেডের। ফাউলারের দলের প্রস্তুতি যে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জন্য যথেষ্ট হয়নি তা প্রথম ম্যাচ থেকেই দেখা যাচ্ছিল। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে হেরে আইএসএল যাত্রা শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই সিটি এফসির। সেখানেই শেষরক্ষা হল না। ০-৩ গোলে হেরে যেতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। পর পর দুই ম্যাচ হেরে শুরুতেই অনেকটা পিছিয়ে পড়ল কলকাতার দল।
ম্যাচ শুরুর ২০ মিনিটের মধ্যেই গোল করে মুম্বইকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ফনদ্রে। বাঁ দিক থেকে বর্জেস বল তুলে দিয়েছিল বৌমাসকে লক্ষ্য করে। সেই বল ধরে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের সামনে থেকেই ফনদ্রেকে বল বাড়িয়ে দেন তিনি। গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
তার আগেই ১৯ মিনিটে গোলের সুযোগ চলে এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। কাউন্টার আক্রমণে উঠে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। বাঁ দিক থেকে উড়ে আসা বল ধরে গোল লক্ষ করে দূর পাল্লার শট নিয়েছিলেন রফিক। কিন্তু রীতিমতো হাওয়ায় উড়ে বাঁ দিকে ঝাপিয়ে সেই বল বাইরে পাঠান অমরিন্দর সিং।
ম্যাচের শুরুতেই ন’মিনিটে দেবজিৎ মজুমদার দুরন্ত সেভ না করলে তখনই পিছিয়ে পড়ত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তেমনটা না হলেও বাকি ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে চাপে রাখল মুম্বই সিটি। মোহনবাগানের কাছে দুই গোল হজম করার পর মুম্বই সিটির কাছে তিন গোল হজম করল ইস্টবেঙ্গল।
মুম্বই সিটি এফসি প্রথমার্ধ শেষ করে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে। যেখানে প্রথমার্ধ শেষ করেছিল মুম্বইয়ের দল সেখান থেকেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে তারা। যার ফল ম্যাচ শুরুর চার মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি পেয়ে যায় মুম্বই সিটি। বক্সের মধ্যে বৌমাসকে ফাউল করে বসেন দেবজিৎ। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের সঙ্গে সঙ্গে নিজের নামের পাশেও দ্বিতীয় গোল লিখে নেন ফনদ্রে।
১০ মিনিটের মধ্যে তৃতীয় গোল হজম করেন ইস্টবেঙ্গল। আবারও বৌমাস। সব গোলের পিছনেই ভূমিকা রেখে গেলেন তিনি। ম্যাচের সেরাও তিনি। ফ্রি-কিক থেকে বৌমাসের ভলি দারুণ জায়গায় পেয়ে গিয়েছিলেন হার্নান সান্তানা। যিনি গোল করতে ভুল করেননি। ৫৯ মিনিটেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় মুম্বই সিটি এফসি।
ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়েও ভাবতে হবে কোচকে। ডার্বি ম্যাচে বলবন্ত ফ্লপ করলেও জেজে লালপেখলুয়াকে মাঠে নামাননি কোচ। বরং তাঁর জায়গায় তিনি নামান রফিককে। যদিও এদিন প্রথম থেকেই বলবন্তের সঙ্গে নেমেছিলেন রফিক। তিন গোল হজমের পর বলবন্তের জায়গায় মাঠে নামলেন জেজে। বক্সের মধ্যে সচল লোকের অভাব ইস্টবেঙ্গলে। ভাবতে হবে গোলকিপিং নিয়েও। পুরো দল নিয়েই ভাবার সময় এসেছে কোচের। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এখনও অনেকটাই সময় রয়েছে তবে ধরে রাখতে হবে আত্মবিশ্বাস।
(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)