জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নভদীপ সাইনি সদ্য ডাক পেয়েছেন সিনিয়র দলে। এক সময় দিন প্রতি আয় ছিল ২০০ টাকা। ম্যাচ খেলে পেতেন। বছর ছয়েক আগে তো সেই ক্রিকেট ম্যাচটাও তেমন সিরিয়াস ভাবে খেলতেন না। ২০১৩–র আগে চামড়ার বলে ক্রিকেটই খেলেননি! যেটুকু খেলতেন টেনিস বলে। নভদীপ সাইনি। রবিবারই ডাক পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজগামী ভারতের একদিনের ও টোয়েন্টি২০ দলে।
স্বাভাবিকভাবেই খুশি ২৬–এর বোলার। বড় মঞ্চে ছাপ রাখতে মরিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ডাক পাওয়ার পর সবচেয়ে বেশি তাঁর মনে পড়ছে গৌতম গম্ভীরের কথা। কেন? গল্পটা বলতে গেলে ফিরে যেতে হবে কয়েক বছর আগে।
দিল্লির প্রাক্তন মিডিয়াম পেসার সুমিত নারওয়াল নভদীপ সাইনিকে প্রথম বল করতে দেখেন কর্নাল প্রিমিয়ার লিগে। সাইনির বলের গতি দেখে ভাল লাগে তাঁর। এরপর সাইনিকে বল করতে ডাকা হয় দিল্লির নেটে। সেখানেই নজরে পড়ে যান গম্ভীরের।
তারপর?
গম্ভীর নিজেই এক জোড়া ভাল জুতো কিনে দেন। আর নিয়মিত দিল্লির নেটে বল করতে বলেন সাইনিকে। এরপর দিল্লির রনজি দলে সাইনিকে নেওয়ার ক্ষেত্রেও গম্ভীরের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। ২০১৩–১৪ মরশুমে দিল্লি দলে ডাক পান সাইনি। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৭–১৮–র রনজি ফাইনালে দিল্লিকে তোলার পেছনে সাইনি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
জীবনের এই পথে যে মানুষটাকে সবসময় পাশে পেয়েছেন, তাঁকে নিয়ে বলতে গিয়ে নভদীপ সাইনি আবেগাপ্লুত। বলেছেন, ‘গম্ভীর ভাইয়ের নাম বলতে গেলেই আবেগে গলা বুজে আসে। জানেন দিল্লির হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলার পরই গৌতম ভাই আমার কাছে এসে বলেছিল, ‘যদি তুমি প্রতিটি ট্রেনিং সেশনে কঠোর পরিশ্রম করো তা হলে একদিন ভারতের হয়ে খেলবে।’ দেখুন, ওর কথা মিলে গেল। আমি যা ভাবিনি, তার আগে গম্ভীর ভাই ভেবেছিল! আমার মধ্যে সেই সম্ভাবনা দেখেছিল।’
নভদীপ সাইনি আরও যোগ করেন, ‘পরিবারের পর, আমার কাছে সবচেয়ে কাছের যদি কেউ হয়ে থাকে সে গৌতম ভাই। আমি কী ছিলাম? কেউই তো চিনত না। হরিয়ানার লোকও আমার নাম শোনেনি। গৌতম ভাইয়ের জন্যই দিল্লির হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছি। তারপর সবাই আমাকে চিনতে শুরু করে। গৌতম ভাই যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে, আস্থা দেখিয়েছে তা জীবনেও ভুলব না।’
(ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতীয় সিনিয়র দলে আর কাঁরা জায়গা করে নিলেন)