সরগরম কলকাতা ময়দান, জনির পর আসছেন রবিনহো!

সরগরম কলকাতা ময়দান

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সরগরম কলকাতা ময়দান। বিশ্বকাপ যখন শেষের পথে তখন নানা বিষয়ে সরগরম কলকাতা ময়দান। মরসুমের শুরুতেই ১০ বছর পর সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে চাপিয়ে চমক দিয়েছিলেন মেহতাব হোসেন। বুধবার সেই চমকে স্বীকৃতির ছাপ পড়ল। আইএফএ অফিসে ২২ জনের মোহনবাগান দল সই করল। তার মধ্যে ছিলেন মেহতাব ও শিলটন পালের মতো পরিচিত মুখ। মোহনবাগানে যখন সব গোষ্ঠী কোন্দলকে পিছনে ফেলে কলকাতা লিগের জন্য দল প্রস্তুত তখন আরও বড় চমক নিয়ে এল ইস্টবেঙ্গল। থুরি, কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি। এখন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নাম। আর শুরু থেকেই নিজের চমক দেখাতে শুরু করে দিল কোয়েস।

এটাই হয়ত ভারতীয় ফুটবলের সব থেকে বড় চুক্তি যখন ভাবছি তখন আরও বড় নামের কানাঘুঁষো ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে। কোস্টা রিকার বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্তা জামোরাকে সই করিয়ে ইতিমধ্যেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বিশ্বকাপ খেলেই ভারতের কোনও ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন কোনও বিদেশি। রাশিয়ায় চলতি বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে প্রথম দলে খেলতে দেখা গিয়েছে জনিকে। সবে ঘোষণাই হয়েছে তাঁর নাম। তাঁর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরও এক বড় ফুটবলারের সঙ্গে জড়িয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের নাম। এবার যে চমক দিতে চলেছে লাল-হলুদ তা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

জনি অ্যাকোস্তা জামোরা।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্রাজিলের বিশ্বকাপার রবিনহোর সঙ্গে কথা চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। রবিনহোকে পাওয়ার জন্য মরিয়া লাল-হলুদ শিবির ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিতেও তৈরি।

একটা সময়ে ইউরোপ তথা বিশ্বের সেরা দশ ফুটবলারের মধ্যে রাখা হতো রবিনহোকে। ব্রাজিলের জার্সিতে ১০০টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।এই মুহূর্তে তুরস্কের ক্লাব সিভাসপোরের হয়ে খেলেন রবিনহো। বর্তমান ক্লাবের সঙ্গে ২০১৯ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে রবিনহোর। তাঁকে পেতে এতটাই মরিয়া ক্লাব যে তাঁর ট্রান্সফার ফি বাবদ খরচ করতে পারে ১৬ কোটি টাকা। যদি এমনটা হয় তবে তা ভারতীয় ফুটবলে রেকর্ড হবে। আপাতত দর কষাকষি চলছে দুই পক্ষের মধ্যেই।

বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্স

২০১৮-য় কোস্টা রিকার অন্যতম নির্ভরযোগ্য সেন্টারব্যাককে তুলে নিয়েছে লাল-হলুদ। এ বার পালা তাহলে মোরিনহোর! ২০০৬ এবং ২০১০ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের অন্যতম ভরসা ছিলেন এই তারকা স্ট্রাইকার। নিজের ফুটবল কেরিয়ারে রবিনহো খেলেছেন রিয়েল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, এসি মিলান, স্যান্টোস, অ্যাতলেটিকো মিনেইরোর মতো ক্লাবের হয়ে সাফল্যের সঙ্গে। রবিনহোর ইস্টবেঙ্গলে খেলতে আসা মানে ভারতীয় ফুটবলে একটি ইতিহাস তৈরি হওয়া। যদিও ক্লাবের পক্ষ থেকে কেউ কোনও মন্তব্য করতে নারাজ এই বিষয়ে।