ফুটবলারদের বকেয়া মেটাতে এক কোটি দিলেন টুটু বসু

ফুটবলারদের বকেয়া মেটাতে

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ফুটবলারদের বকেয়া মেটাতে এ বার উদ্যোগ নিলেন টুটু বসু।  এক সপ্তাহ আগের ঘটনা। মোহনবাগান ক্লাবের কর্মসমিতির ১৪ জন সদস্য একসঙ্গে পদত্যাগ করেছিলেন। তার আগেই সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দিয়েছিল ক্লাবের দুই শীর্ষকর্তা দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসু। প্রতিবাদের কেন্দ্রে সচিব অঞ্জন মিত্র। তাঁর জন্যই নাকি এই দল বেঁধে পদত্যাগ। সেই তালিকায় ছিলেন ফুটবল সচিব, টেনিস সচিব প্রাক্তন ফুটবলার সকলেই রয়েছেন।

এর পর পাল্টা চাল দিয়ে অঞ্জন মিত্র কর্মসমিতির সভা ডাকেন। পুলিশি তৎপড়তায় শুক্রবার বিকেলে কার্যকরী কমিটির সভা হয় ক্লাব তাঁবুর ভিতরে। একই সঙ্গে ক্লাব লনে ঝড় তোলেন বিদায়ী সদস্যরা। আই লিগ শেষ হওয়ার পর থেকেই মোহনবাগান ক্লাবে এই ডামাডোলের শুরু। যা শেষ হওয়ার নামই নিচ্ছে না। কর্তাদের সমস্যার শিকার হচ্ছে দল।

তথৈ জলে এ বারের দল গঠন। সঙ্গে গত মরসুমের টাকা পাননি অনেক ফুটবলার। সেই টাকা কে দেবে সেটাও প্রশ্ন। এতদিন সবটাই দেখতেন দেবাশিস ও সৃঞ্জয়। এতদিন ক্লাবের সব সমস্যা মিটেছে টুটু বসুর হস্তক্ষেপে। এতদিন এত ঘটনা ঘটে গেলেও তাঁকে দেখা যায়নি। তিনি ছিলেন না দেশে। গত পরশুই ফিরেছেন। ফিরেই সবার আগে ফুটবলারদের বকেয়া মেটানোর চেষ্টায় নেমে পড়েছেন।

ম্যাচের শুরুটা করে দিযেছিল বার্সেলোনাই

সোমবার ই-মেল করে তিনি সচিভ অঞ্জন মিত্রকে জানিয়েছেন, ‘‘যা ঘটছে তাতে তিনি খুবই হতাশ। সংবাদ মাধ্যমে পুরোটা সামনে চলে এসেছে। আমি বর্তমান অবস্থান নিয়ে বাকিদের মতই চিন্তিত। সব থেকে বেশি যেটা সমস্যার সেটা হল গত তিন মাস মাইনে পায়নি ফুটবলাররা। আমার বিশ্বাস আমাদের মধ্যে অনেক মত পার্থক্য হতে পারে কিন্তু তার প্রভাব যেন ফুটবলারদের উপর না পড়ে। কারণ ওরাই আসল, যাদের হাতে ক্লাবের সাফল্য ব্যর্থতা নির্ভর করে। এই সব ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে চলে আসায় ক্লাবের নামও খারাপ হচ্ছে।’’

এই মুহূর্তে তিনিই এগিয়ে এসেছেন ফুটবলারদের তিন মাসের মাইনে মেটাতে। এতদিন এটাই করে এসেছেন। যখনই ক্লাব সমস্যায় পড়েছে টাকার সংস্থান করেছেন তিনিই। কারণ দীর্ঘদিন ক্লাবের কোনও স্পনসর নেই। এ বারও ফুটবলারদের বকেয়া মেটাতে এক কোটি টাকা দিচ্ছেন তিনি। তিনি এই ই-মেলে জানিয়েছেন, তাঁর সংস্থার জিএম সুমন ঘোষ সৃঞ্জয় বসুর সঙ্গে কথা বলে পুরো ব্যবস্থা যে এখনই করেন।

শেষ লাইনে তিনি লেখেন, ‘‘আমার প্রিয় ক্লাবের পাশে আমি সর্বতভাবে সব সময় থাকার কথা দিচ্ছি।’’