জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান ভারতীয় তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে ‘ভুয়ো ফিল্ডিং’-এর (Virat’s Fake Fielding) অভিযোগ এনেছেন। তাঁর অভিযোগ বিরাট কোহলির ফেক ফিল্ডিং মাঠের আম্পায়ারদের নজরে পড়েনি এবং সেটা টি২০ বিশ্বকাপে সম্ভাব্য পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পেনাল্টি রান কেড়ে নিয়েছে। অল্প সময়ের বৃষ্টির পর ১৬ ওভারে ১৫১ রানের লক্ষ্য স্থির করা হয়। বাংলাদেশ পাঁচ রানে পিছিয়ে পড়ে। যদিও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান স্বীকার করেছেন যে তাঁরা হেরেছেন উপযুক্ত কারণেই। নুরুল, যিনি শেষ ওভারে আরশদীপ সিংয়ের বলে একটি ছক্কা এবং একটি চার দিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ধরে রেখেছিলেন, খেলার পরে মাঠের আম্পায়ারদের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
“অবশ্যই, আমরা যখন খেলা আবার শুরু করি তখন ভেজা আউটফিল্ডের প্রভাব পড়ছিল। কিন্তু একটি ভুয়ো থ্রোও ছিল যা আমাদের পাঁচ রান পাইয়ে দিতে পারত কিন্তু আমরা তাও পাইনি,” নুরুল মিক্সজোনে এই বক্তব্য রাখেন বাংলায়।। আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউন এবং মারাইস ইরাসমাসকে ঘটনাটি উপেক্ষা করার জন্য সরাসরি অভিযুক্ত করেন তিনি।
দেখুন সেই ঘটনার ভিডিও—
#FakeFielding or not ???#Askthepavilion #PakVSa #NoBall pic.twitter.com/1Z25J8WVDV
— Muhammad Shehroz 🇵🇰 (@Iam_Shehroz) November 2, 2022
রিলে থ্রো হল এমন একটি থ্রো যেখানে ট্র্যাকের কাছাকাছি ফিল্ডার ডিপ থেকে বলটি ধরে স্টাম্পে ছুড়ে দেন। দুই ব্যাটার – লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত – কোহলির দিকে তাকাযননি এবং সে কারণেই নুরুলের বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে। আইসিসি প্লেয়িং কন্ডিশন নিয়ম ৪১.৫ অনুযায়ী, যা অন্যায্য খেলার সঙ্গে সম্পর্কিত ফিল্ডিং দলকে ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি, প্রতারণা বা ব্যাটাকে বাধা থেকে নিষিদ্ধ করে।
আম্পায়ার যদি দেখেন যে কেউ নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, তিনি এটিকে ডেড বল বলতে পারেন এবং পাঁচটি পেনাল্টি রান দিতে পারেন। নুরুল কোহলিকে ফেক ফিল্ডিংয়ের জন্য অভিযুক্ত করলেও, তিনি নিয়মে ‘বিক্ষিপ্ততা’ এবং ‘প্রতারণা’ শব্দ দু’টি বলেননি। শান্ত বা লিটন কেউই কোহলির দিকে তাকিয়ে ছিলেন না, এবং তাই, তাঁরা বিভ্রান্ত বা প্রতারিত হননি। উল্টে ম্যাচ অফিশিয়ালদের সমালোচনা করায় নুরুলকে নির্বাসিত করা হতে পারে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google