জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইংল্যান্ড–পাকিস্তান নামছে ট্রেন্ট ব্রিজের ২২ গজে যা বরাবরই ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য। এই মাঠেই তিন বছর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৪৪৪ রানের বিশ্বরেকর্ড করেছিল ইংল্যান্ড। সেই রেকর্ডকে পিছনে ফেলে গত জুনে আবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪৮১ রান তুলেছিল মর্গান বাহিনী। কাকতালীয় ভাবে কাপ অভিযানের দ্বিতীয় ম্যাচে এই জুনে সেই ২২ গজে মর্গানদের বিপক্ষে আবার পাকিস্তান।
বিশ্বকাপ ২০১৯-এর ফেবারিট ইংল্যান্ড যেখানে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে বড় জয় পেয়েছে। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সরফরাজ আহমেদের পাকিস্তান গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১০৫ রানে। শর্ট বলের বিরুদ্ধে পাক ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েই সাফল্য পেয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান বোলাররা। শোনা যাচ্ছে, বিপক্ষের সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে সোমবার জোফ্রা আর্চারের সঙ্গী হিসেবে মাক উডকে জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে ইংরেজ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।
সেরকম ইঙ্গিত পাওয়া গেল ইংল্যান্ড সহকারী কোচ গ্রাহাম থর্পের কথাতেও। বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। দেখে মনে হচ্ছিল ওরা পাক ব্যাটিংয়ের ওপর রোলার চালিয়ে দিচ্ছে। ফলে, এই ম্যাচে আমাদের কী করণীয় সে বিষয়ে একটা সম্যক ধারণা রয়েছে। সত্যি বলতে, উডকে খেলানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।’ বাঁ–পায়ের গোড়ালিতে একটা পুরনো চোট রয়েছে উডের। সেই চোট–আতঙ্কের মধ্যে চলতি মরশুমে মাত্র ১৩.১ ওভার বোলিং করেছেন এই ডান হাতি পেসার। তবে পেস ও দক্ষতায় আর্চারের সঙ্গে তাঁর জুটি তো বরাবরই জমজমাট। তাই স্বাভাবিকভাবেই উডের খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।
বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কম থাকলেও ভারতের সমস্যা হবে না : শচীন
শুধুমাত্র ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ইংল্যান্ড ঝুড়ি ঝুড়ি রান করে এই ধারণাকে স্রেফ উড়িয়ে দিচ্ছে মর্গানদের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স। ভুলে গেলে চলবে না, ওভালের যে উইকেটে আর্চার–ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা, সেখানে রাবাডা–এনগিডিদের পেস সামলে ৩১১ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। ফলে অনেকেই বলছেন, এই ইংল্যান্ড ৫০০ তুলে ফেললেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। পাকিস্তান ম্যাচ প্রসঙ্গে মর্গানদের সহকারী কোচ থর্প তো বলেই দিলেন, ‘আগের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারিয়ে ফেলায় আমাদের ছোট ছোট পার্টনারশিপগুলো বড় হয়নি। ট্রেন্ট ব্রিজে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্কোরবোর্ডে রানের পাহাড় খাড়া করে দেব।’
পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স অবশ্য যথেষ্টই হতাশাজনক। টানা ১১ ম্যাচ ধরে হেরেই চলেছেন সরফরাজরা। ওয়াহাব রিয়াজ যদিও বলছেন, ‘বিপক্ষ বোলাররা যদি শুধু বাউন্সার দিতে চায়, তাতে অবশ্য আমাদের কোনও সমস্যা নেই।’ যদিও সেটা কতটা বাস্তবসম্মত ম্যাচেই প্রমাণ পাওয়া যাবে।
(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এ লিঙ্কে)