জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ধর্ষণে অভিযুক্ত নেইমার অস্বীকার করলেন সব অভিযোগ। নেইমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র। ব্রাজিলের এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা এই অভিযোগ এনেছেন। দু’জনের পরিচয় ইনস্টাগ্রামে। প্রথমে বার্তা বিনিময় শুরু হয়। তারপর নেইমারই ওই মহিলাকে মে মাসের মাঝামাঝি প্যারিসে এসে দেখা করতে বলেন। ব্রাজিলীয় তারকার কথা মতো ওই মহিলা প্যারিসে আসেন। নেইমারের সহকারীই বিমানের টিকিট আর থাকার জন্য হোটেলের ঘর বুক করে দেন। ১৫ মে রাত ৮টা নাগাদ ওই হোটেলে পৌঁছন নেইমার।
মহিলা সাও পাওলোতে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ‘মত্ত অবস্থায় হোটেলে পৌঁছয় নেইমার। প্রথমে আমাদের দু’জনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই কথাবার্তা এগোচ্ছিল। কিন্তু আচমকা নেইমার আমার ওপর জোর করতে শুরু করে। তারপর ধর্ষণ করে।’ ঘটনার পর মানসিকভাবে এতই বিধ্বস্ত ছিলেন ওই মহিলা যে কাউকে কিছু না জানিয়ে দু’দিন পর ব্রাজিলে ফিরে যান তিনি। দেশে ফিরে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছেলের হয়ে সাফাই দিয়েছেন নেইমার সিনিয়র। বলেছেন, ‘ঘটনাটা সত্যি নয়। আমার ছেলে অপরাধ করতেই পারে না। আমাদের কাছে সব তথ্য আছে। এটা আসলে ফাঁদ পাতা হয়েছে। ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। সময়টা কঠিন। যদি প্রয়োজন হয়, তা হলে সবার সামনে নেইমারের হোয়াটসঅ্যাপে আসা মেয়েটির বার্তাও আমরা দেখাতে পারি।’
নেইমার নিজে পরে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। নিজের ওয়েবসাইটে একটি বার্তাও পোস্ট করেছেন। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘অবৈধ জুলুমের শিকার নেইমার। সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ। অস্বীকার করা হচ্ছে। এটা কোনও মতেই ধর্ষণের ঘটনা নয়।’
ইনস্টাগ্রামে সাত মিনিটের ভিডিওতে নেইমার নিজে বলেছেন, ‘সেদিন যা ঘটেছিল, তা একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলার মধ্যে বন্ধ দেওয়ালের আড়ালে ঘটে থাকে। ওই দিনের পরও একে–অন্যকে বার্তা পাঠিয়েছি আমরা। তবে খুব খারাপ লাগছে, এটা দেখে যে বিশ্বে এখন এভাবে কোনও ঘটনার ব্যাখ্যা হচ্ছে! কিছু মানুষ সুবিধে নিতে চায়। যা যা ঘটছে, তা দেখে মর্মাহত। আমার আর আমার পরিবারের জন্য অত্যন্ত একঘেয়ে এবং অস্বস্তিকর একটা পরিস্থিতি।’
নেইমার সাফাই দিয়েছেন। কিন্তু সত্যিটা কি চাপা দেওয়া যাবে?
(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)