জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কর্নাটকে পুরভোট হয়েছে। সঙ্গে কর্পোরেশন এবং পঞ্চায়েতেও ভোট। আর সেই ভোটের ফলে বেশ স্বস্তিতেই রয়েছে কংগ্রেস।
লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছিল কর্নাটকে। কিন্তু কর্নাটকের ৬১টি পুরসভার নির্বাচনের ফলে কিছুটা স্বস্তি পেল কংগ্রেস-জেডিএস জোট। ওই পুরসভাগুলির অধিকাংশ আসনই দখল করেছে কংগ্রেস। ফলে আপাতত রাজ্যের শাসক জোটে ফাটল ধরার সম্ভাবনা কমেছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
লোকসভা ভোটে কর্নাটকের ২৮টি আসনের মধ্যে ২৫টিতে জিতেছে বিজেপি। মাত্র ১টি করে আসন পেয়েছে কংগ্রেস ও জেডিএস। রাজ্যের শাসক জোটে দীর্ঘ দিন ধরেই অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছে। লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পরে বেশ কয়েক জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে গুঞ্জন শুরু হয়।
২৯ মে রাজ্যে ৬১টি পুরসভার নির্বাচন হয়। আজ সেই নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে দেখা যাচ্ছে, পুরসভাগুলির ১ হাজার ৩০০টি আসনের মধ্যে ৫০৯টি দখল করেছে কংগ্রেস। জেডিএস পেয়েছে ১৭৪টি। বিজেপির হাতে রয়েছে ৩৬৬টি। ১৬০টি আসন দখল করেছেন নির্দল প্রার্থীরা।
পুর নির্বাচনে আলাদা আলাদা ভাবেই লড়েছিল কংগ্রেস ও জেডিএস। তবে এই ফলে যে তাঁরা অনেকটা স্বস্তি পেয়েছেন তা গোপন করছেন না ওই দুই দলের নেতারা। প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান গুন্ডু রাও জানান, পুরভোটে তাঁরা আলাদা আলাদা ভাবেই লড়েছিলেন। তবে বোর্ড গড়ার সময়ে প্রয়োজনে একে অন্যকে সমর্থন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতেও পঞ্চায়েত ভোটে আলাদা লড়বে কংগ্রেস ও জেডিএস।
তিনি আরও জানান, ফলের দিকে তাকিয়ে দেখলে বোঝা যাবে এই রাজ্যে তাঁরাই এক নম্বরে। রাও জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটের কয়েক দিন পরেই এই ভোট হয়েছে। বিজেপি বলছিল কংগ্রেস শেষ হয়ে গিয়েছে। তা হলে ওদের ৬০ শতাংশ আসন পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এই ভোটের ফল হয়েছে উল্টো। বিজেপি মাত্র ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এই ফল তাঁদের অনেকটা স্বস্তি দিয়েছে বলে মত রাওয়ের। পুরভোটে তাদের সমর্থন করার জন্য রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।
পুরভোটের ফলের প্রেক্ষিতে ফের ইভিএমে কারচুপির সম্ভাবনা নিয়ে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতারা। রাও যেমন জানিয়েছেন, এত কম সময়ের মধ্যে জনমতে এত বড় পার্থক্য কেন হল তা খতিয়ে দেখা উচিত।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)