জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: গ্রেফতার সুশীল কুমার ও তাঁর সঙ্গী অজয় কুমার। গত ১৮ দিন ধরে তাঁদের খোঁজ করছিল দিল্লি পুলিশ। কুস্তিগীর খুনে অভিযুক্ত এই দু’জন। খুনের পর দিন থেকেই উধাও হয়ে যায় দু’জনেই। তাঁদের খুঁজে দিতে পুরস্কারও ঘোষণা করে দিল্লি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পঞ্জাবের জলন্ধর থেকে এই দু’জনকে গ্রেফতার করে পঞ্জাব পুলিশ। সেখান থেকেই খবর যায় দিল্লি পুলিশের কাছে এবং তার পর দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। এদিনই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে সুশীলদের।
দিল্লির ছত্রসাল স্টেডিয়ানে ঝগড়া থেকে হাতাহাতি, যার ফলে মৃত্যু হয় সাগর রানা নামে এক কুস্তিগীরের। তাঁর দুই বন্ধু সনু ও অমিত কুমার গুরুতর আহত হন। মৃত কুস্তিগীরের মৃত্যু হয়েছিল মারের জন্য। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুশীল কুমার ও অজয় নামে আরও এক কুস্তিগীর। কুস্তিগিরের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় এই দু’জনসহ সেখানে উপস্থিত আরও পাঁচ জনকে।
তার আগে ৪ মে রাতে সুশীলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় এবং রবিবার তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় দিল্লির একটি আদালতে। সুশীলের জন্য আগাম জামিনের আবেদন দিল্লি আদালতে খারিজ হয়ে যায়। টলতে থাকে তল্লাশি। দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশও তাঁকে খুঁজতে শুরু করে। সুশীলের মাথার দাম ধার্য করা হয় ১ লাখ টাকা।
দিল্লি পুলিশ ৩০২ (খুন), ৩০৮ (অপরাধমূল কাজ), ৩৬৫ (অপহরণ), ৩২৫ (মারাত্মক আঘাত করা), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৩৪১ (অন্যায়ভাবে বাধা দেওয়া) এবং ৫০৬ (অপাধমূলকভাবে ভয় দেখানো) ধারায় মামলা করেছে।
ভারতের হয়ে জোড়া অলিম্পক পদক রয়েছে সুশীলের ঝুলিতে। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে তিনি ৬৬ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। তার পর ২০১২তে আবার লন্ডন অলিম্পিকে রুপো জিতে নেন। খেলার জগতে ভারতের মাথা উঁচু করেছিলেন সুশীল কুমার। কিন্তু খুনের মামলায় জরিয়ে পড়া এবং পালিয়ে বেড়ানো তাঁর খেলায়ড় জীবনের উপর প্রভাব ফেলবে।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)