Bankura Cave: আদিম মানুষ থাকত এই গুহায়!

Bankura Cave

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভারতের ইতিহাসে বিভিন্ন জায়গায় এমন গুহার সন্ধান পাওয়া যায়। যেখানে কখনও না কখনও থাকত আদিম মানুষ। তার প্রমানও মিলেছে। যা এখন পর্যটনকেন্দ্রের রূপ নিয়েছে। তা বলে খোদ পশ্চিমবঙ্গে এমন গুহার খোঁজ মিলবে তা কে জানত। সম্প্রতি বাঁকুড়ায় (Bankura Cave) মিলেছে এমনই এক গুহার খোঁজ। পাহাড়ের গায়ে ছোট-খাটো গুহা তৈরি হয় কোনও কোনও সময়। যেখানে জঙ্গলের পশুরা আশ্রয় নেয়। কিন্তু বাঁকুড়ার এই গুহার আকাড় চমকে দেওয়ার মতো। দেখার পর থেকে স্থানীয়দের ঘোর কাটছে না। বাড়ির পাশে গুহা ছিল তা জানাই ছিল তা বলে এমন বিশালাকার তা জানা ছিল না। গুহার দৈর্ঘ্য দেখে মনে করা হচ্ছে সেখানে মানুষ বাস করত। তেমনই ধারণা স্থানীয়দের আবিষ্কর্তার।

পাহাড়ের উপর থেকে এই গুহা স্পষ্ট দেখা যায়। গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের জঙ্গলমহলে পোড়া পাহাড়ের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত গুহার মুখটি। পাহাড়ের উত্তর দিকে রয়েছে এই মুখ। গুহার উচ্চতা ৬ ফুট। যাতে একজন সাধারণ উচ্চতার মানুষ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। চওড়া ৪-৫ ফুটের মতো। যা অনেকটাই বড় বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে শেষ নয়। বিস্ময়ের শুরু এর পর। গুহার ভিতর দিয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর রাস্তা দু’দিকে ভাগ হয়ে গিয়েছে। পাহাড়ের পাথর কেটে কেটে তৈরি হয়েছে এই গুহা।

গুহার ভিতর দিয়ে ডানদিকের রাস্তা ধরলে তা শেষ হচ্ছে পাহাড়ের অন্য প্রান্তে। এই পথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ ফুটের কাছাকাছি। সেখান থেকে আরও একটি মুখ শুরু হচ্ছে। এখনও পুরোটা দেখে ফেলা সম্ভব হয়নি। তবে বাঁ দিকে যে রাস্তা চলে গিয়েছে তার দৈর্ঘ্য প্রায় ২০০ ফুটের কাছাকাছি। যত গুহার রাস্তা ধরে এগোন যাবে ততই চমকে ওঠার মতো দৃশ্য দেখা যাবে। এই ২০০ ফুট দীর্ঘ রাস্তা দিয়ে বাঁ দিকে এগিয়ে গেলে সুরঙ্গের দু’পাশে রয়েছে কুঠুরির মতো জায়গা। মোট সাতটি কুঠুরি রয়েছে সেখানে। সেই কুঠুরির আয়তন লম্বায় ২০ ফুট ও চওড়ায় সাত ফুট। যা দেখেই মনে করা হচ্ছে এখানে প্রাচীন মানুষ বসবাস করত।

Bankura Cave

ইতিমধ্যেই খবর পাঠানো হয়েছে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে। তাঁরাই নিশ্চিত করে বলতে পারবেন, আসলে এই গুহা কবে তৈরি হয়েছিল এবং কারা ব্যবহার করত। এই গুহার ইতিহাস জানা গেলে একটা অন্য দিগন্ত খুলে যেতে পারে গবেষকদের সামনে। ভবিষ্যতে এই জায়গা যে পর্যটনের জন্যও বিখ্যাত হয়ে উঠবে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। তবে যা খবর তাতে স্থানীয়রা অনেকেই এ গুহার খবর জানতেন। কিন্তু তা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায়নি কেউ। এও জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ বছর আগে এই পাহাড়ে এক সংস্থা ইউরেনিয়াম সংগ্রহের কাজ করেছিল। যদিও তা মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যায়। তখনই এই গুহা তৈরি হয় বলে দাবি কারও কারও।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle