জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অনেকেই শহর ছেড়ে ওই দুটো দিন রঙের খেলায় মেতে উঠতে পাড়ি জমান শান্তিনিকেতনে। রবি ঠাকুরের আপন দেশে বসন্ত উৎসবের আমেজই আলাদা। সঙ্গে রয়েছে একরাশ আবেগ। সে এক পরিবেশ ছিল। ছিল বলতেই হচ্ছে। গত কয়েক বছর বোলপুরে দোল উৎসবের আয়োজন হয়নি। শেষ যেবার হয়েছিল সেবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপচে পড়া ভিড়ে রীতিমতো পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তার মধ্যেই এসে গেল কোভিড। বন্ধ করে দেওয়াহল বিশ্ব বিদ্যালয়ের দরজা। ব্যস শান্তি নিকেতনের আধা অনুভূতি উধাও হয়ে গেল।
এবারও বিশ্বভারতীতে হচ্ছে না বসন্ত উৎসব। ভিতরে হবে নিজেদের মতো করে ছোট আয়োজন। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে বিশ্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বসন্ত বন্দনা’। পর্যটকরা অনেকেই শান্তিনিকেতন ভ্রমণের জন্য বেছে নেয় এই সময়কে। এক তো ছুটি সঙ্গে চুটিয়ে দোল খেলা—দুটোই হয়ে যায় এক সঙ্গে। শান্তিনিকেতনে সব সময়ই বসন্ত উসবে আবির ছাড়া অন্য কিছু খেলা হত না। তাই রঙ আতঙ্কও থাকত না।
সকালে ছাত্র-ছাত্রীরা শোভাযাত্রায় অংশ নিতেন। তাঁদের সঙ্গে গানে গানে পা মেলাতেন হাজার হাজার পর্যটক। দেখে মনে হত যেন হলুদ পলাশে ভড়ে গিয়েছে গোটা রাস্তা। কারণ বসন্ত উৎসবের রঙ তো হলুদ। মেয়েদের পরনে থাকে হলুদ শাড়ি আর ছেলেরা সাজেন হলুদ পাঞ্জাবিতে। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য তৈরি হত শান্তিনিকেতনের রাস্তায়। সে সব এখন অতীত।
এবারের নিজস্ব অনুষ্ঠানে যা যা থাকছে তা এরকম— সকালে শোভাযাত্রা। দোলের আগেই থাকছে লোক সংস্কৃতি উৎসব, বৈতালিক, নৃত্যনাট্য। দোলের দিন ৭ মার্চ গৌর প্রাঙ্গণে গান গাইতে দেখা যাবে পূর্ণদাস বাউলকে। তবে বিশ্ব বিদ্যালয়ের তরফে বা চত্তরে তেমন কোনও অনুষ্ঠান না হলেও গতবারের মতো বিভিন্ন জায়গায় টুকরো টুকরো অনুষ্ঠানের যে আয়োজন হতে চলেছে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। সেখানেই অংশ নিতে পারবেন পর্যটকরা। তাই বোলপুরের টিকিট কেটে ফেলে থাকলে বাতিল করবেন না। শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবের অনুভূতি আপনি পাবেন। সঙ্গে সোনাঝুড়ির হাঁটও রয়েছে তাঁদের পসরা সাজিয়ে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google