জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বৈষ্ণোদেবী যাওয়া মানে দীর্ঘ পরিকল্পনা। শরীর, স্বাস্থ্য—সব ঠিক থাকলে তবেই পৌঁছনো যাবে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে। এই আতঙ্কেই অনেকে আর প্রকৃতি অপরূপ সৃষ্টির কাছে পৌঁছতে পারেন না। আবার অনেকে ধর্মের টানে কষ্ট করেই পৌঁছে যান সেখানে। দীর্ঘ পথ হেঁটে তবেই পৌঁছতে হয় বৈষ্ণোদেবী। হেলিকপ্টারে যাতায়াতের ক্ষমতা সবার থাকে না। তাই পায়ে হাঁটাই শ্রেয়। তবে এবার সবটাই কমতে চলেছে। লাগবে না হেলিকপ্টারের বিপুল ভাড়া আবার ছ’ঘণ্টার হাঁটা পথও পেড়তে হবে না।
অনেকদিন ধরেই চলছে পরিকল্পনা। জম্মু-কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবীর পথে চলবে রোপওয়ে। শেষ পর্যন্ত শুরু হতে চলেছে রোপওয়ে তৈরির কাজ। তবে কারা এই কাজ করবে তা এখনও ঠিক হয়নি। রাইটসের তরফে বুধবারই নিলাম ডাকা হয়েছিল। রোপওয়ের এই পথ ২.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। যা তৈরি করতে আনুমানিক খরচ পড়বে ২৫০ কোটি টাকা। কাটরার বেসক্যাম্প থেকে ছাড়বে এই রোপওয়ে। যার ফলে তীর্থযাত্রীদের হাঁটার পথ কমে যাবে প্রায় একদমই।
ইতিমধ্যেই বৈষ্ণোদেবী মন্দির থেকে ভৈরো মন্দির পর্যন্ত চালু হয়েছে রোপওয়ে পরিষেবা। কাটরা থেকে বৈষ্ণোদেবীর পথে রোপওয়ে চলতে শুরু করলে জয় করা যাবে দীর্ঘদিনের দুর্গমতাকে। ১২ কিলোমিটার পাহাড়ি পথে হাঁটারা ক্লান্তির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
প্রতিবছরই বৈষ্ণোদেবী দর্শনে প্রচুর মানুষ যান। কোভিডের সময় বেশ কয়েকবছর বন্ধ থাকায় গত বছর মানুষের ঢল নেমেছিল। ট্রেকিংয়ের রাস্তায় মানুষের ভিড়ে পদপিষ্ঠ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ২০২২-এ এই পথে এসেছিলেন ৯১ হাজার তীর্থযাত্রী। রোপওয়ে চালু হলে সেটা বাড়বে অনেকটাই।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google