জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কম করে ৫৭০০ Flight Cancelled বিশ্ব জুড়ে। হাজারের উপর বিমান দেড়িতে চলছে। বড় দিনের সপ্তাহান্তে রীতিমতো বিপাকে যাত্রীরা। কারণ অবশ্যই ওমিক্রনের বিশ্ব জুড়ে দাপাদাপি। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন তেমনই লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে ওমিক্রনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফ্লাইটওয়্যার ডট কমের তথ্য অনুযায়ী ২৫০০-র বেশি বিমান বিশ্ব জুড়ে বাতিল করা হয়েছে শুধু বড়দিনের দিন। তার মধ্যে ৮৭০টি বিমানই হয় আমেরিকা থেকে ওড়ার কথা বা সেখানে পৌঁছনোর কথা ছিল। সঙ্গে ৪২০০-র বেশি বিমান নির্ধারিত সময়ে ওড়েনি।
শুক্রবার প্রায় ২৪০০ বিমান বাতিল করা হয়েছিল এবং ১১০০০ বিমান দেড়িতে চলছিল। ইতিমধ্যেই রবিবার বাতিল হতে চলা বিমানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০০-তে। সেটা যে বাড়বে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। বিমান বাতিল ও দেড়িতে চলার কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে বিমান চালক, বিমান সেবিকা এবং অন্যান্য কর্মীরা হয় অসুস্থ অথবা কোভিড আক্রান্তের সংস্পর্শে এসে কোয়ারিন্টিনে রয়েছেন। যার ফলে লুফথানসা, ডেল্টা, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, জেটব্লু-সহ অল্প যাত্রীর বিমান তাদের বিমান বাতিল করেছে বছরের শেষ সব থেকে পিক ট্র্যাভেল টাইমে।
সাধারণ যাত্রীদের টুইটেও দেখা যাচ্ছে তাদের অবস্থার কথা। এক যাত্রী তাঁর টুইটে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের কাছে সাহায্য চেয়েছেন কারণ তিনি বড়দিনে তাঁর বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাঁর বিমান বাতিল হয়ে যায়। এই বিমান সংস্থা শুক্র ও শনিবার ২০০-র মতো বিমান বাতিল হয়েছে। ১০ শতাংশ বিমান সঠিক সময়ে উড়েছে। আমেরিকাতেও প্রতিদিন ওমিক্রনের দাপট বাড়ছে। ইউনাইটেড বিমানের তরফে এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘দেশ জুড়ে এই সপ্তাহে ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বিমান কর্মীদের উপর।’’
সেখানে আরও বলা হয়েছে, ‘‘সে কারণেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু বিমান বাতিল করা হয়েছে এবং যাত্রীদের জানানো হয়েছে আগেভাগে তাঁরা বিমান বন্দরে পৌঁছনোর আগেই। যার প্রভাব তাদের উপর পড়েছে।’’ শুধু ওমিক্রন নয়, ডেল্টার প্রভাবও পড়েছে বিমান চলাচলের উপর। তবে সব থেকে বেশি বাতিল হয়েছে চাইনিজ এয়ারলাইন্স। চায়না ইস্টার্ন ১০০০ বিমান বাতিল করেছে। এয়ার চায়না ২০ শতাংশ বিমান স্থগিত রেখেছে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)