জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৯ অগস্ট। প্রতি বছর এই দিনেই আফগানিস্তানবাসী স্বাধীনতা দিবস পালন করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই স্বাধীনতা দিবস পালনের সময়েই আফগান নাগরিকদের উপর গুলি চালাল তালিবান। এই ঘটনায় দু’জন আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন আফগানিস্তানের আসাদাবাদে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রতি বছর ১৯ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করে আফগানিস্তান। কিন্তু এ বছরের পরিস্থিতিটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আফগানিস্তানের বেশির ভাগ অঞ্চলই এখন তালিবানের দখলে। তাদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই স্বাধীনতা দিবস পালন করতেই হামলার মুখে পড়তে হয়েছে আফগানবাসীদের।
সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস এ বছর ১০২তমে পদার্পণ করেছে। সেই স্বাধীনতা দিবস পালনে আসাদাবাদের রাস্তায় জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করছিলেন কয়েক জন। আচমকাই সেখানে হাজির হয় তালিবান। তার পরই ভিড় লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিতে মারা যান দু’জন। আহত হয়েছেন কম করে ৮ জন।
আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানী কাবুলের রাস্তাতেও জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করেন বহু মানুষ। তালিবানের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তাঁরা। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ রুখতে জোর করে সেখানে কার্ফু জারি করে তালিবান। জালালাবাদেও স্বাধীনতা দিবস পালনের সময় নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় তালিবান জঙ্গিরা। সেখানে এক কিশোর আহত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এ প্রসঙ্গে তালিবানের যুক্তি, আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ছিল, কিন্তু স্বাধীন ছিল না দেশ। ক্ষমতা পুনর্দখলের পরে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের নীতির কথা ঘোষণা করেছে তালিবান। তারা বলেছে, সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। সকলে যেন নিজের কাজে যোগ দেন। বলেছে, বোরখাই পরতে হবে, এমন নয়। মেয়েদের হিজাব পরলেও চলবে। অথচ মঙ্গলবারই বোরখা না পরায় হত্যা করা হয়েছে তখড় প্রদেশের এক মহিলাকে। তারও আগে আটক করা হয়েছে, বল্খ প্রদেশের প্রাক্তন মহিলা গভর্নর সালিমা মাজারিকে।
দু’দশক আগের তালিবান শাসনের থেকে এ বারের নয়া জমানা যে আলাদা হতে চলেছে, তা বোঝানোর চেষ্টা তালিব নেতৃত্বের তরফে কম নেই। অনেকেরই আশঙ্কা, তালিবান মুখে যাই বলুক, কিছু দিন গেলে তারা স্বমূর্তি ধরবে আগের মতোই। ইতিমধ্যেই যার ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে বলে স্থানীয়দের অনেকের দাবি।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)