অতিমারির আতঙ্ক কাটিয়ে খুলছে ইউরোপ, ১ বছর পর মৃত্যুহীন ব্রিটেন

আতিমারির আতঙ্ক কাটিয়ে খুলছে ইউরোপ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আতিমারির আতঙ্ক কাটিয়ে খুলছে ইউরোপ তবে নিয়ম মেনে। কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়েছিল ইউরোপের উপর। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ছিল ব্রিটেন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা রীতিমতো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছি‌ল। কিন্তু ধিরে ধিরে গত এক বছরে দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে সে দেশের প্রশাস‌ন। সে কারণে একটু একটু করে শিথিল হচ্ছে সেখানকার কোভিড নিয়ম। তার মধ্যেই ব্রিটেনের জন্য সুখবর। গত জুলাইয়ের পর আবার এই প্রথম মঙ্গলবার কোভিডে মৃত্যু হল না কারও। যা সত্যিই গোটা দেশের জন্য স্বস্তির খবর।

গত বছর জুলাইয়ে প্রথম কোভিডে মৃত্যু দেখেছিল ব্রিটেন। তার পর থেকে প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল দেখেছে দেশ। ইউরোপের উপর কোভিডের প্রকোপ ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছিল একটা সময়। তবে দ্বিতীয় ঢেউকে দারুণভাবে সামলাতে পেরেছে সে দেশ। যেভাবে ভারতের উপর কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়েছে তাতে আশঙ্কা ছিলই কিন্তু সেখানে সেই প্রভাব পড়তে দেয়নি। যার ফল এই প্রথম মৃত্যুহীন দিন কাটল ব্রিটেনের। এমন দিন দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে সব দেশ।

যদিও সম্প্রতি সেখানে আক্রান্তের সংখ্য বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে সে দেশে। তবে মনে করা হচ্ছে প্রথম ঢেউয়ের পরিস্থিতি আরহ ব্রিটেনে হবে না। কারণ অতিমারির শুরুতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল ব্রিটেনই। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছি ব্রিটেনে।

গত ডিসেম্বর থেকেই সেখানে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে এটা তারই প্রভাব। যা স্বস্তি দিলেও সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রক মানুষকে সাবধান করেছে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়। আর তা টে করোনা নতুন স্ট্রেনের জন্য হচ্ছে সেটাও পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক বলেন, ‘‘মৃত্যু নেই সেটা খুব ভাল খবর কিন্তু আমরা এখনও ভাইরাসকে হারাতে পারিনি। তাই সবাই সরকারের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।’’

ভারতে প্রথম পাওয়া ডেলটা প্রজাতির করোনাভাইরাসের দেখা মিলেছে ব্রিটেনে। গত এক সপ্তাহ ধরে তাতে রোজ তিন হাজারের উপর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সে দেশের প্রশাসন এখন তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ভাবছে। তা কীভাবে আটকানো যায়। ২১ জুন থেকে দেশের বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার কথা থাকলেও আপাতত তা হচ্ছে না। গোটা দেশের সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন না হলে এমনটা যে সম্ভব নয় তা বুঝেছে প্রশাসন।

সম্প্রতি অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে আরও ডোজের জন্য কথা বলেছে ব্রিটেন সরকার। করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির জন্যই বাড়তি ডোজ চাওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে যা প্রথম পাওয়া গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। যদিও ফেব্রুয়ারি অ্যাস্ট্রাজেনেকার উপর বিধিনিষেধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)