করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত, ৬ গবেষকের গবেষণার ফল জানাল ল্যানসেট

করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত, এই নতুন তথ্য উঠে আসছে এবার। কোভিড নিয়ে জল্পনা যেন থেমেও থামছে না। কীভাবে এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা নিয়ে গবেষকদের রীতিমতো নাস্তানাবুদ অবস্থা। কোভিডের প্রথম ওয়েভ কাটার পর সাময়িক বিরতি কাটিয়ে যে দ্বিতীয় ওয়েভ হাজির হয়েছে তা আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। আক্রান্ত বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। যা কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না। আর এ বার আরও আতঙ্কের খবর দিচ্ছে একটি গবেষণা। সেটা ঠিক হলে, করোনা আরও ভয়ঙ্কর আকাড় নেবে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।

সার্স কোভ-২ ভাইরাসের কারণেই হচ্ছে কোভিড-১৯। আর সেই ভাইরাস সংক্রমিত হয় মানুষের থেকে মানুষের মধ্যে। স্পর্শ, হাঁচি, কাশি ইত্যাদি। যে কারণে গত এক বছকে কয়েক কোটিবার শোনা গিয়েছে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং শব্দটি। কিন্তু সেই সামাজিক দূরত্ববিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এবার আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘ল্যানসেট’ ঘোষণা করল এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে বায়ুর মাধ্যমেই।

করোনাভাইরাস যদি বায়ুবাহিত হয় তাহলে সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকাটা বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়াবে টা প্রায় অসম্ভব। যে সময়টুকু মাস্ক পরে থাকতে হচ্ছে তাতেই মানুষের বিভিন্ন রকমের সমস্যা হচ্ছে তার মধ্যে বায়ুবাহিত কোভিড-১৯-কে আটকাতে হলে সারাক্ষণ মাস্ক ব্যবহার প্রায় অসম্ভব।

তিন দেশ আমেরিকা, কানাডা ও ব্রিটেনের ছয় বিজ্ঞানী এই গবেষণা করেছেন। যাদের প্রধান অক্সফোর্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের ট্রিশা গ্রিনহল। তিনি তাঁদের গবেষণার আবিষ্কার নিয়ে জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এই বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। বিভিন্ন পরিস্থিতি ও পরিবেশে তাঁরা এই পরীক্ষা চালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আর তাতেই প্রমান হয়েছে স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমেই বায়ুবাহিত হয়ে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢুকে পড়তে পারে সহজেই।

পরীক্ষায় এমনও দেখা গিয়েছে যে এলাকায় কোভিড আক্রান্ত রয়েছে সেখানকার বায়ুতে এই ভাইরাস রয়েছে। আর এটাই প্রমান করতে এতটা সময় লেগে গেল। আসলে যথোপযুক্ত প্রমান ছাড়া এই তথ্য বাইরে আনতে চাননি বিজ্ঞানীরা। আপাতত এই আবিষ্কার নিশ্চিত হলে কোভিডবিধিতেও অনেকটাই বদল আসতে বাধ্য।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)