জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আফগান নারীর অধিকার কেড়ে নিচ্ছে তালিবান, শুক্রবার এমন মন্ত্যবই করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। তালিবানরা আফগানিস্তানের যে সমস্ত জায়গা দখল করছে, সেখানে নারীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমনই ভয়াবহ খবর তিনি পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন গুতেরেস। এই মুহূর্তে তালিবানরা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে খুব বেশি দূরে নয়। গোটা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার খুব কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে তারা। এমতাবস্থায় গোটা দেশ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। আফগানদের মনে সেই ২০০১ সালের আগের স্মৃতি প্রকট হয়ে উঠছে। আশঙ্কা, আমেরিকার সেনা ও ন্যাটো বাহিনী আসার আগের অবস্থার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে আফগানিস্তান।
এ দিন আন্তোরিয়ো গুতেরেস বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের একাধিক জায়গা তালিবানদের দখলে চলে গিয়েছে। ওই সব জায়গা থেকে ভয়াবহ খবর পাচ্ছি। সে সব থেকে এটা স্পষ্ট যে, আফগান নারীর অধিকার কেড়ে নিচ্ছে তালিবান এবং সাংবাদিকদেরও একই অবস্থা। তাদের নিয়ন্ত্রিত জায়গায় মানবাধিকার বলে কিছু থাকছে না। ওদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য যেন নারী এবং সাবাদিক। এ সব আমাকে ভীষণ ভাবে বিরক্ত করছে। এ সব কীসের ইঙ্গিত, তা আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি।’’
আন্তোনিয়োর মতে, আফগান নারী বহু কষ্টে তাঁদের অধিকার অর্জন করেছেন। সেই অধিকার ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে তালিবান। এ পরেই মহাসচিবের আক্ষেপ, ‘‘এই সব ভয়াবহ রিপোর্ট দেখলে মন ভেঙে যায়।’’ আন্তোনিয়ো এ দিন তালিবানদের মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘‘সাধারণ নাগরিকের উপর অত্যাচার চালানো মানবিকতা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। শুধু তাই নয়, এমনটা করা যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য।’’
অন্য দিকে, দোহায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে কূটনৈতিক বৈঠকে বসেছিল ভারতও। সেখানে ঠিক হয়েছে, সামরিক শক্তির সাহাযে কেউ যদি আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে, তা হলে তাকে কোনও ভাবেই স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। বরং সংঘর্ষবিরতির ডাকই দেওয়া হয়েছে ভারত, জার্মানি, নরওয়ে, তাজিকিস্তান, তুর্কি এবং তুর্কমেনিস্তানের তরফে। ১২ অগস্টের এই বৈঠকের আগে ১০ অগস্ট কাতারেই আর এক বৈঠক হয়। সেখানেও এই দেশগুলির পাশে ছিল চিন ও পাকিস্তান। তবে অন্য একটা অংশের মতে বেজিং অন্য রকম ভাবছে। আফগানিস্তানে তালিবান যদি ক্ষমতায় আসে, তা হলে তাদেরই সমর্থন করবে তারা।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)