জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Imran Khan পাকিস্তানে কী হবে? প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দায়ের হওয়া মামলায় রায় মঙ্গলবার পর্যন্ত স্থগিত রাখল পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শুনানির পর প্রধান বিচারপতি উম আটা বান্দিয়ালের বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।
ইমরানের উপর চাপ বাড়িয়ে সোমবার সকালে পাক সুপ্রিম কোর্ট জানায়, অনাস্থা ভোট এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভাঙার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ নিয়ে দায়ের হওয়া মামলাগুলির শুনানি হবে। বিরোধীদের অভিযোগ ৩৪২ আসনের পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ১৯৭ জন সদস্য ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় অসাংবিধানিক পদক্ষেপ করেছেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি।
প্রসঙ্গত, রবিবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বিশেষ অধিবেশন শুরুর পরেই পাক সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে সুরি জানিয়ে দেন, বিরোধীদের আনা প্রস্তাব আসলে ‘বিদেশি চক্রান্ত’। তা নিয়ে আলোচনা বা ভোটাভুটি কোনওটাই হবে না। এর পর ইমরানের প্রস্তাব মেনে পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন।
ইমরান বিরোধীদের যুক্তি, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিকাংশ সদস্য যখন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা হারিয়েছেন, তখন অনাস্থা প্রস্তাব আনাটা সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই পড়ে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিরোধীর স্পিকার আসাদ কাইজারের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ায় রবিবার অধিবেশনে তিনি ছিলেন না। তাঁরই সই করা নির্দেশ পড়েন ডেপুটি স্পিকার সুরি।
কিন্তু পাক সংবিধান বলছে, এক বার প্রক্রিয়া শুরুর পরে আস্থা বা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি কেউ ঠেকাতে পারেন না। স্পিকার বা প্রেসিডেন্টও নন। আর যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে, তিনি প্রেসিডেন্টকে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার সুপারিশও করতে পারেন না। কাজেই শুধু স্পিকার নন, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টও সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ আবেদনকীরেদের।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)