জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কাবুল থেকে ১২৯ জন ভারতীয়কে নিয়ে সঠিক সময়েই উড়ান ভড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এআই-২৪৪। রবিবার সকালে ততক্ষণে চারদিক দিয়ে কাবুলের দখল নিতে শুরু করে দিয়েছে তালিবানরা। ক্রমশ কাবুল চলে যাচ্ছে তাদের হাতে। তবে তারা জানিয়েছিল, কাবুল দখলে তারা চায় না কোনও রক্তপাত হোক। তাই যারা শহর ছাড়তে চায় তারা যেন নিরাপদে শহর ছাড়তে পারে। এবং প্রশাসনকে বার্তা দিয়ে তারা জানায়, আলোচনার মাধ্যমেই তারা কাবুলের দখল নিতে চায় যুদ্ধ করে নয়। কাবুল পুরোপুরি তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার আগেই সেখান থেকে উড়েছিল বিমান। কাবুলের স্থানীয় সময় সন্ধে ৬.০৬-এ কাবুল বিমান বন্দর থেকে ওড়ে বিমানটি। দিল্লিতে নামে রাত ৮টার আশপাশে।
আপাতত কাবুল থেকে শেষ বিমান উড়ল ভারতের উদ্দেশে। এদিন সকালে এআই-২৪৩ বিমানটি দিল্লি থেকে কাবুলে পৌঁছয় সেখান থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করার লক্ষ্যে। নির্ধারিত সময়ের থেকে এক ঘণ্টা দেড়িতে কাবুলে অবতরণ করে বিমানটি। টার্ময়েলের জন্য দেড়ি হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কাবুলের এয়ার ট্র্যাফিকে সাহায্য করার মতো কেউ ছিল না। ততক্ষণে শহরের বাইরে পৌঁছে গিয়েছিল তালিবানরা। তবে এখনই কাবুলের ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের সরানো হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে। তবে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে দ্রুত তাঁদের সরানোর জন্য সব রকম ব্যবস্থা তৈরি রেখেছে ভারত সরকার। মনে করা হচ্ছে এই মুহূর্তে শহর যে তালিবানদের দখলে চলে গিয়েছে সেহেতু সেখান থেকে তাঁদের বের করে আনাটা বেশি ঝুঁকির হয়ে যাবে। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। প্রয়োজনে জরুরী ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তৈরি রাখা হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান।
এদিকে এমিরেটসের একটি বিমানকে কাবুলে নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি। মাঝ পথ থেকেই তাকে ফিরতে হয়। যে বিমানে অনেকের কাবুল ছাড়ার কথা ছিল। এই মুহূর্তে বিমানবন্দর চলে গিয়েছে মিলিটারির দখলে এবং খালি করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। আপাতত আফগানিস্তানের এয়ারস্পেস ব্যবহার করার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘‘পরিস্থিতির নিরাপত্তার দিকে নজর রাখছে ভারত খুব সামনে থেকে এরকম কোনও নির্দেশিকা এখনও নেই।’’
তার আগে আমেরিকান দূতাবাসের কর্মীদের সরাসরি অফিস থেকে হেলিকপ্টারে করে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই কাবুলের দখল নিয়েছে তালিবান। কাবুলে ঢোকার সব মুখে মোতায়েল রয়েছে তালিবানি জঙ্গি। যাদের ২০ বছর আগে দেশ ছাড়া করেছিল আমেরিকান সেনা ৯/১১ আক্রমণের পর। এবার আমেরিকা সেনা তুলে নিতেই সুযোগ চলে আসে তালিবানের কাছে। আফগানিস্তান মিলিটারিও সেনা তুলে নেয়। এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘনি আফগানিস্তান ছেড়ে তাজিকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তাঁর প্রশাসনের তরফেই এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)