জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আফগানিস্তান মানেই রক্তাক্ত ইতিহাসের সাক্ষী হওয়া। সেই মৃত্যু মিছিলের মধ্যে থেকেই কেউ কেউ দেশের জার্সি পরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁপিয়ে বেড়ান। কিন্তু তাঁরা যতই সাফল্য নিয়ে আসুক না কেন, দেশ শান্ত হয় না। দেশ জ্বলতেই থাকে, বাড়তে থাকে মৃত্যু। হারিয়ে যায় কত কত চেনা মুখ। এই যন্ত্রণা বুকে নিয়েই আবার মাঠে নামেন রশিদরা। দেশের জন্য তুলে আনেন সাফল্য। কিন্তু দেশ হাসে না। দেশ কাঁদতেও কি ভুলে গিয়েছে? সে দেশের সব বড় নামেরা টখন চুপ তখন মুখ না খুলে পাড়লেন না আফগানিস্তান লিমিটেড ওভারের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রশিদ খান। তালিবানদের দখলে চলে যাচ্ছে দেশ।
আমেরিকা সেনা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার আগেই তালিবানদের বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছে। মার্কিন সেনা সরিয়ে নিলে কী হবে সেই আশঙ্কাই গ্রাস করছে রশিদদের। তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘প্রিয় বিশ্বের লিডাররা! আমার দেশ সমস্যায় রয়েছে, হাজার হাজার সাধারণ মানুষ, এমনকী শিশু ও মহিলারাও প্রতিদিন শহীদ হচ্ছে। বাড়ি, সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ছে। আমাদের এভাবে বিপদের মধ্যে ফেলে যাবেন না। আফগানদের খুন করা এবং ধ্বংস করা বন্ধ হোক। আমরা শান্তি চাই।’’
রশিদের এই বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর বার্তাতেই পরিষ্কার কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সে দেশের। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের ৬৫ শতাংশ চলে গিয়েছে তালিবানদের দখলে। চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে মৃতদেহ। জেলের সামনে গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ স্তুপাকার অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেগুলোকে ছিঁড়ে খাচ্ছে কুকুর। আফগান সেনাও তালিবানদের সঙ্গে লড়াই করতে পারছে না। সরে যেতে বাধ্য হয়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। শেবেরগান, কুন্দুজ, তালোকান ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে তালিবানদের দখলে। বাড়ি থেকে বের করে করে খুন করা হচ্ছে দেশের সরকারি আধিকারিকদের।
Dear World Leaders! My country is in chaos,thousand of innocent people, including children & women, get martyred everyday, houses & properties being destructed.Thousand families displaced..
Don’t leave us in chaos. Stop killing Afghans & destroying Afghaniatan🇦🇫.
We want peace.🙏— Rashid Khan (@rashidkhan_19) August 10, 2021
জানা গিয়েছে অবসরপ্রাপ্তদেরও তারা ছাড়ছে না। তাঁদেরও খুন করা হচ্ছে। চোখের সামনে ছেলের মাথা কাটা দেহ দেখতে হয়েছে। ছেলেকে দেখতে হয়েছে গুলি খেয়ে ছিটকে পড়া বাবার ছটফট করতে থাকা দেহ। মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তালিবানদের সঙ্গে সেখানকার মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরিবারে দু’জন মহিলা থাকলেই একজনকে নিয়ে গিয়ে তালিবানের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুরুষদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বন্দুক। বাঁচতে হলে মারতে হবে। তাই প্রান বাঁচাতে অনেকে তুলে নিচ্ছে বন্দুক। গৃহহীনরা আশ্রয় নিয়েছেন কাবুলে বলে জানা গিয়েছে। তবে কাবুল যে তালিবানদের হাত থেকে রক্ষা পাবে না তা সকলেরই জানা। কেউ জানে না কোথায় গেলে প্রাণ বাঁচবে।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)