জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আফগানিস্তানে গঠন হল মন্ত্রিসভা । সোমবারই পঞ্জশির দখল নিশ্চিত করেছে তালিবান। আর মঙ্গলবার রাতেই গঠন হল দেশের তালিবানি সরকারের ক্যাবিনেট। ঘোষণা করে দেওয়া হল ক্যাবিনেট সদস্যদের নাম। বর্তমান আফগান সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখা যাবে মহম্মদ হাসান আখুন্দকে। এর সঙ্গে তাঁর হাতে দায়িত্ব যাচ্ছে রেভারি সুরাহ গোষ্ঠীরও। তালিবানদের সব থেকে বড় গোষ্ঠী এটি। উপ-প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মোল্লা আবদুর ঘানি বরাদর। দু’জন উপপ্রধানমন্ত্রী রাখা হচ্ছে এই মন্ত্রিসভায়। দ্বিতীয় জন মোলবি হানাফি।
আখুন্দের হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তালিবান শাসনকালে সে দেশে পাকিস্তানের বাড়বাড়ন্ত যে বাড়বে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। আর সেই দিনই কাবুলের রাস্তায় পাকিস্তান বিরোধী মিছিলে হাওয়ায় গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। সব কিছু বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মঙ্গলবার তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা আফগানিস্তানের নতুন ক্যাবিনেট সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। তার আগেই মহম্মদ হাসান আখুন্দের নাম প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রস্তাব করেন হেবাতুল্লা আখুন্দজাই। কোনও বিরোধিতা ছাড়াই সেই পদে বসলেন তিনি।
আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী হচ্ছেন আবাস স্তানিকজাই। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে বসছে মোল্লা ইয়াকুব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানি। তবে এটাই যে তালিবানদের আফগানিস্তান শাসনের মূল এবং নিশ্চিত দল তা নয়। কারণ ক্যাবিনেট ঘোষণা করার পর তালিবানদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ক্যাবিনেট আপাতত কার্যনির্বাহী। তবে প্রধানমন্ত্রী আখুন্দকে নিয়ে উঠছে অনেক প্রশ্ন। বিশেষ করে তিনি পাকিস্তান ঘনিষ্ঠ বলে খ্যাত হওয়ায় আফগানিস্তানে তালিবান শাসনকালে পাকিস্তানের বাড়বাড়ন্ত হবে বলেই মনে করছে স্থানীয়রা।
এদিকে নব্য নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বাকি নেতাদের মতো যে জনপ্রিয় তাও নয়। তবে সে এক সময় কোয়েত্তা সুরাব-র নেতা ছিল। যারা তুলনামূলকভাবে নরমপন্থী। সব কিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে তার রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবাদী তালিকায় নাম থাকা। তবে তালিবানরা তার অভিজ্ঞতাকে দেশ চালানোর জন্য কাজে লাগাতে চাইছে। কারণ একসময় তালিবান সরকারে মন্ত্রী ছিল এই আখুন্দ।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)