জলাধার ভেঙে ভেসে গেল গ্রাম, নিখোঁজ শতাধিক

জলাধার ভেঙে ভেসে গেল গ্রামজলাধারের জলের দাপটে ভেসে গিয়েছে লাওসের এই গ্রাম।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জলাধার ভেঙে ভেসে গেল গ্রাম । যদিও এই সময় থাইল্যান্ডে প্রবল বর্ষা। প্রায় চার মাস ধরে চলে এখানে বৃষ্টি। বন্যা এই সময় নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু সোমবার যে এ ভাবে পুরো গ্রাম ভেসে যাবে তা কে জানত। ছিল না কোনও পূর্বাভাস। বৃষ্টিও অনেকটাই কম ছিল। জারি হয়নি কোনও আগাম সতর্কতা। হঠাৎই জল এসে ভাসিয়ে নিয়ে গেল সব। ভেসে গেল একটা পুরো গ্রাম।

বৃষ্টি নেই, নেই কোনও বন্যার পূর্বাভাস। কিন্তু হঠাৎই ভেসে গেল ঘর-বাড়ি। ভেসে গেল মানুষ। এমনটাই ঘটেছে ব্যাঙ্ককের লাওসে।  নির্মিয়মান  জলাধারের দেওয়াল ভেঙে ভেসে গেল তার আশপাশের গ্রাম। কেউ তৈরি ছিল না এই পরিস্থিতির জন্য যে কারণে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বেশি।

আত্তাপেউ অঞ্চলের সান সাই জেলায় এর জেরে দেখা দিয়েছে বন্যা। উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে নৌকো। এবিসি লাওসের রিপোর্ট অনুযায়ীজেপিয়ান-জে নাম নয় হাইড্রোপাওয়ার ড্যামের দেওয়াল ভেঙে পড়ার পর বেড়ে যায় জলস্তর। যে সংস্থা এই জলাধার তৈরি দায়িত্বে ছিল তাদের উদ্ধারকারী দলও সরকারের সঙ্গে উদ্ধারকাজে নেমেছে। যদিও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বেশি বৃষ্টি আর বন্যা পরিস্থিতির জন্যই ভেঙে পড়েছে জলধারকে ধরে রাখার ব্যবস্থা।

টরন্টোয় বন্দুকবাজের হামলা

সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘আমরা জরুরীকালিন তৎপড়তায় উদ্ধারকারী দলকে নামিয়েছি। যাতে দ্রুত গ্রামবাসীদের উদ্ধার করা যায়।’’ সোমবার রাত আটটা নাগাদ ভেঙে পড়ে জলাধারের অনেকটা অংশ। যাতে পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পরে প্রায় ৫ বিলিয়ন কিউবিক মিটার জল। ভেসে যায় পুরো একটা গ্রাম। জলের তলায় চলে যায় ঘর-বাড়ি। শতাধিক মানুষ এখনও নিখোঁজ। আশঙ্কা করা হচ্ছে অনেকের  মৃত্যুও হয়েছে।

পরিবেশবিদরা বেশ কয়েক বছর ধরে এই লাওস ড্যাম নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছিলেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী এই জলাধার মেকং নদীর উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। ক্ষতি হবে স্থানীয় চাষবাসেরও। ২০১৯ থেকে এই ড্যামের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। এখান থেকে ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ এক্সপোর্ট হওয়ার কথা ছিল দেশের বিভিন্ন অংশে। বাকি ১০ শতাংশ বিক্রি করা হত স্থানীয় প্রয়োজনে।

কিন্তু এই দুর্ঘটনা অনেক প্রশ্নের মুখে দাড় করিয়ে দিয়েছে এই সব জলাধারকে। এই সব প্রকল্প স্থানীয় বাসিন্দা ও আসপাশের গ্রামগুলোর উপর কী ভাবে প্রভাব ফেলছে তাও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এই দুর্ঘটনার সঙ্গেই।