কেউ ভর্তিই হল না, যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ফাঁকা থেকে গেল এতগুলো আসন!

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ। ক্লাস শুরু হবে খুব শীঘ্রই। অথচ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সব আসন পূর্ণ হল না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এখনও আসন খালি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চতুর্থ দফার কাউন্সেলিং শেষ। তার পরেও ৭০টি আসন ফাঁকা রয়ে গিয়েছে। শেষ হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। আগামী ৬ অগস্ট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা। অথচ এখনও ৭০টি আসন ফাঁকা!

গত বছরেও চার দফা শেষে ফাইনাল কাউন্সেলিং-এর পরেও ফাঁকা থেকে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি আসন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউন্সেলিং-এর বিকেন্দ্রীকরণ করেন। অর্থাৎ কম নম্বর পাওয়া পড়ুয়ারা ফাঁকা আসনে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নানান সমস্যায় জর্জরিত। প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে ছাত্র আন্দোলন সদ্য শেষ হয়েছে। সেই রকম একটা সময়ে কর্তৃপক্ষ কাউন্সেলিং-এর বিকেন্দ্রীকরণ করতে রাজি হচ্ছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, তেমন কোনও সম্ভাবনা এ বার আর নেই।

পশ্চিমের খোলস ছেড়ে রাজ্যের নাম এখন শুধুই বাংলা

অন্যান্য টেক-ক্যাম্পাসের মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কেও এ বার প্রথম বর্ষের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রছাত্রীদের জন্য তিন সপ্তাহের একটি ইনডাকশন প্রোগ্রামের আয়োজন করতে হবে। অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন-এর নির্দেশ তেমনটাই নির্দেশ। সেই মতো অগস্টের প্রথম সপ্তাহেই ওই ইনডাকশন প্রোগ্রামের আয়োজন করতে হবে। কাজেই স্পট কাউন্সেলিং করে ছাত্র ভর্তির সময় আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে নেই।

২০১৭-তে মোটা আসন ছিল ১১৩৭টি। এ বার সেই আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২৭৩।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘২৬ অগস্ট ইনডাকশন প্রোগ্রাম শেষ করতে হবে। কাজেই ৬ অগস্টের মধ্যে সেই প্রোগ্রাম শুরু করতেই হবে। তা না হলে ফার্স্ট সেমেস্টার শুরু করা যাবে না। স্পট কাউন্সেলিং করে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে গেলে অন্তত ১৫-১৭ দিন আরও প্রয়োজন। তাই সেটার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। কাজেই, আসন খালি রেখে আমাদের ক্লাস শুরু করতে হবে। কিছুই করার নেই।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আর একটি সূত্র জানিয়েছে, সব থেকে বেশি আসন ফাঁকা থেকে গিয়েছে সিভিল এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। ছাত্রছাত্রীরা সব থেকে আগে ভর্তি হয় কম্পিউটার সায়েন্সে। এ বার সেই বিভাগেও একাধিক আসন ফাঁকা রয়ে গিয়েছে। আসন ফাঁকা ইলেকট্রনিক্স এবং টেলিকমিউনিকেশন বিভাগেও।

২০১৭-য় ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড তিন বার কাউন্সেলিং করার পরেও ১৫০ আসন ফাঁকা থেকে গিয়েছিল। পরে কাউন্সেলিং-এর বিকেন্দ্রীকরণ করে ১৪৬টি আসন ভর্তি হয়।

এই আসন ফাঁকা থাকার ঘটনা গত বছরেও হয়েছিল। ২০১৭-য় ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড তিন বার কাউন্সেলিং করার পরেও ১৫০ আসন ফাঁকা থেকে গিয়েছিল। পরে কাউন্সেলিং-এর বিকেন্দ্রীকরণ করে ১৪৬টি আসন ভর্তি হয়। বাকি থেকে গিয়েছিল ৪টি আসন। এ বার সে জায়গায় তিন দফা কাউন্সেলিং-এর পরে ২৫৪টি আসন ফাঁকা ছিল। এর পর বোর্ড আরও এক দফা কাউন্সেলিং করায়। এর আগে কোনও বছর এমন চতুর্থ রাউন্ড কাউন্সেলিং করানো হয়নি। তার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘মপ-আপ রাউন্ড’। কিন্তু, তার পরেও ৭০টি আসন ফাঁকা থেকে যায়।