প্রয়াত শর্বরী দত্ত, ব্রড স্ট্রিটের বাড়ির শৌচাগারে মিলল দেহ

প্রয়াত শর্বরী দত্ত

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রয়াত শর্বরী দত্ত, বৃহস্পতিবার রাতে ব্রড স্ট্রিটের বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয়েছে বিখ্যাত এই ফ্যাশন ডিজাইনারের দেহ। বাড়ির একতলায় একাই থাকতেন তিনি। উপরের তলায় থাকতেন তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ। পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই দরজা খোলেননি তিনি। রাতেও অনেক বার ডাকার পরে কোনও সাড়া মেলেনি। এর পর দরজা ভাঙা হলে বাড়ির শৌচাগারে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

রাতেই কড়েয়া থানার পুলিশ শর্বরী দত্তের বাড়িতে পৌঁছয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শৌচাগারে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অথবা পড়ে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, তাঁর মুখে রক্তের দাগ ও গোড়ালিতে চোটের চিহ্ন রয়েছে।


বাংলার আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

শর্বরী দত্তের ছেলে ও পুত্রবধূ ওই বাড়িরই দোতলায় থাকেন। প্রয়াত শর্বরী দত্ত, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, একটা গোটা দিন এমনকি মধ্যরাত পর্যন্ত এক জন মানুষ ঘর থেকে বার হলেন না, তা-ও তাঁরা কেন কেউ খোঁজ করলেন না। পুলিশের দাবি, জবাবে শর্বরী দত্তের ছেলে জানিয়েছেন, প্রতিদিনই তাঁর মা বাইরে বেরোতেন। এ দিনও বেরিয়েছিলেন,  এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু রাত পর্যন্ত না মা না ফেরায় তাঁরা খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন, ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পায়।

সব বিষয় খতিয়ে দেখে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। শুক্রবার তাঁদের বাড়িতে যেতে পারে ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের অফিসাররা।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এ-ও জানতে পেরেছে, ছেলে এবং পুত্রবধূর সঙ্গে শর্বরী দত্তের সম্পর্ক মোটেও ভাল ছিল না। সম্প্রতি ব্যবসা থেকে আলাদা হয়েছিলেন তাঁরা। শর্বরী দত্তের মৃত্যু প্রসঙ্গ এই বিষয়টিকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর ছেলে। তিনি জানিয়েছেন, সম্পর্ক খারাপ থাকলে কিছু দিন আগেই কেন তাঁরা একসঙ্গে শান্তিনিকেতনে ঘুরতে গিয়েছিলেন? সেখানে তাঁর একটি প্রপার্টি রয়েছে। সেখানে কিছু দিন একসঙ্গে কাটিয়ে ফেরেন তাঁরা।

এই মুহূর্তে গোটা ঘটনা পরম্পরা খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা এবং হোমিসাইড বিভাগের আধিকারিকেরা। পুরুষদের ফ্যাশনে বাংলার বুকে আলোড়ন আনা ডিজাইনারের মৃত্যুতে সেলিব্রেটি মহলে শোকের ছায়া। এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে হতবাক সবাই।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)