West Bengal BJP রাজ্য কমিটিতে বড়সড় রদবদল

West Bengal BJP

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: West Bengal BJP রাজ্য কমিটিতে বড়সড় রদবদল। নতুন কমিটিতে ঠাঁই হয়নি সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার এবং প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট নেতার। বিজেপির যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে।

সৌমিত্রর পরিবর্তে ইন্দ্রনীল খাঁকে যুবমোর্চার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য মহিলা মোর্চার নেত্রী ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁকে রাজ্য বিজেপির মূল সংগঠনে এনে মহিলা মোর্চার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তনুজা চক্রবর্তীকে। অগ্নিমিত্রার মতো সৌমিত্রকেও রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিজেপির সংবিধান মেনেই সভাপতি বদলের পর নয়া রাজ্য কমিটি তৈরি করা হয়েছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর দলের রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তার প্রায় তিন মাস পর বুধবার রাজ্য কমিটির নতুন সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হল। নয়া কমিটিতে তরুণদেরই গুরুত্ব দিয়েছেন সুকান্ত।

জয়প্রকাশকে মুখপাত্র করা হলেও বাকি দু’জন কোনও পদেই নেই। বিজেপির অন্দরে ফিসফাস, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের তুলনায় এই কমিটিতে বেশি করে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ‌ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠরা জায়গা পেয়েছেন।

নতুন কমিটিতে সায়ন্তনের পাশাপাশি বাদ পড়েছেন সঞ্জয় সিংহ, রথীন্দ্রনাথ বসু, দীর্ঘ দিন দলের সহ-সভাপতি পদে থাকা রাজকমল পাঠক। বাদ দেওয়া হয়েছে সহ-সভাপতি ভারতী ঘোষকেও। তবে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ সহ-সভাপতি হিসাবে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন।

মাঠে ময়দানে নেমে কাজ করা বহু নেতা-নেত্রীকে এই কমিটিতে আনা হয়েছে। মূলত তাঁদের জনভিত্তিকে গুরুত্ব দিয়ে তা কাজে লাগাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে বিজেপি-র অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সায়ন্তন।

বুধবার যে নতুন কমিটি ঘোষিত হয়েছে তাতে আরও দুই সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংহ এবং রথীন্দ্র বসু বাদ পড়েছেন। ‌যদিও সঞ্জয় এবং রথীন্দ্রকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। কিন্তু সায়ন্তনকে কমিটিতেই রাখা হয়নি। বিজেপি সূত্রে খবর, এর পরেই ক্ষুব্ধ সায়ন্তন দলের সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। সেই সঙ্গে ঘনিষ্ঠমহলে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।

দীর্ঘ দিন সহ-সভাপতি থাকা দলের প্রবীণ নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রীতেশ তিওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদাররাও কোনও পদ পাননি। জয়প্রকাশকে মুখপাত্র করা হলেও বাকি দু’জন কোনও পদেই নেই।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)