জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কোভিড পরিস্থিতিতে এখন সব থেকে বেশি প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ। আর তা করতে Immunity Booster পদ্ধতি জেনে রাখাটা খুবই জরুরী। ঘরে বসেই কী ভাবে বা কী কী জিনিসের মাধ্যমে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নেবেন তা জেনে রাখাটা খুবই দরকারী। বাড়ির বাইরে বেরতে পারছেন না অনেকেই। আর যাঁরা বাইরে যাচ্ছেন তাঁরা রয়েছেন হাই রিস্কে। তাই বাইরে যান বা ঘরে থাকুন—রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নিতেই হবে। তবে মেডিসিন ছাড়াই বাড়াতে হবে ইমিউনিটি। তাই প্রতিদিনের খাবারে রাখুন বেশ কিছু জিনিস। যার ক্ষমতা ওসুধের থেকেও বেশি।
রসুন— প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহার হয়েই থাকে। যার মধ্যে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর উপাদান। যা না জেনেই আমরা শুধুই স্বাদের জন্য খেয়ে থাকি। তবে জেনে রাখা ভাল রসুনের গুনাগুন। রসুনের ক্ষমতা এতটাই বেশি যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার আটকাতে সাহায্য করে। সঙ্গে বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। অনেকে রসুনের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। তাদের পক্ষ্যে কিছুটা মুশকিল। কিন্তু যারা পছন্দ করেন তাঁরা যে কোনও আমিশ রান্নায় গোটা গোটা রসুনের কোয়া দিয়ে দিন। খেতে পারেন রসুন বাটাও। সর্দি, কাশিতেও কার্যকরী।
আদা— প্রাচীন কাল থেকেই সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় আদা ব্যবহার হয়ে আসছে। কাশি হলে আদা কুচিকুচি করে কেটে একটু নুন মাখিয়ে খেয়ে নিলেই গলায় আরাম লাগে।বা চায়ের সঙ্গে আদা মিলিয়ে দিলে তা সর্দি, কাশিতে কার্যকরী। এর পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের সমস্যাকে আটকাতে সাহায্য করে আদা। এ ছাড়া হজম ও গা গোলানোর মতো সমস্যাকেও আটকায় আদা। যে কারণে রান্নায় আদা ব্যবহারের সঙ্গে কাচা আদাও প্রতিদিন মেনুতে রাখা যেতেই পারে বিভিন্ন ভাবে।
পালংশাক— সবুজ সবজি সবসময়ই স্বাস্থ্যের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটা যদি হয় শাক তাহলে তো কথাই নেই। বিশেষ করে পালংশাক। পালংশাকে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা মাংসপেশী এবং নার্ভের কাজকে স্বাভাবিক ও সচল রাখে। এর সঙ্গে হৃদযন্ত্রেরও খেয়াল রাখে পালংশাক। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি ওঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কোভিড কালে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাইরাল সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে খুবই কার্যকরী পালং। বিশেষ করে সংক্রমণের পর হোয়াইট ব্লাড সেল তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই পালংশাকের গুরুত্ব খুবই বেশি প্রতিদিনের স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বজায় রাখার জন্য।
যে কোনও লেবু জাতীয় ফল— তার মধ্যে রয়েছে কমলা লেবু, মুসাম্বি লেবু, পাতি লেবু। এই প্রত্যেকটি ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এই তিনটি ফলের চাহিদা এখন তুঙ্গে। যা ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে সঙ্গে কোভিডকেও আটকায়। ভিটামিন সি যে হোয়াইট ব্লাডসেলের উন্নতি করে সেটা আগেই বলেছি। এক্ষেত্রেওএকই কাজ করে। ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
দই— দই সবসময়ই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিপাকতন্ত্রকেও সচল রাখে। দই বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। বিশেষ করে টক দই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। সরাসরি টক দই যাঁরা খেতে পারেন তাদের তো কোনও সমস্যাই নেই। যারা পারেন না তারা একটু চিনি বা বিভিন্ন ধরনের ফল মিশিয়ে নিন, দেখবেন সুস্বাদু যেমন লাগবে তেমন স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভাল। এর মধ্যে যেমন রয়েছে ভিটামিন তেমনই রয়েছে মিনারেলস।
মধু— শীত, গ্রীস্ম, বর্ষা, সব সময়ই ঘরে ঘরে থাকে মধু। সকালে খালি পেটে এক চামচ মধুতে কয়েক ফোটা পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিলে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে তেমনই পেটের মেদ ঝড়াতেও সাহায্য করবে। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। এছাড়া গলায় সংক্রমণ ও অ্যাজমার মতো সমস্যাকে প্রতিরোধ করে।
পেপে— এটি যেমন একটি সবজি হিসেবে ব্যবহার হয় তেমনই ফল হিসেবেও অনেকে খায়। তাই পেপের গুন প্রচুর। যাঁদের পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য তো পেপে-র থেকে ভাল কিছুই হতে পারে না। পেপে-তে রয়েছে ভিটামিন সি। আর এই বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ভিটামিন সি-র গুরুত্ব অপরিসীম তা এতদিনে সবাই জেনে গিয়েছে। পেপে-র মধ্যে রয়েছে পাচক এনজাইম নাম পাপাইন। সঙ্গে লোহিত রক্তকণিকা ঘাটতিও মেটায়।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)