জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হিমাচলে প্রকৃতির তান্ডব চলছেই গত এক মাস ধরে। দু’দিন আগে ধসের তলায় চাপা পড়ে যায় যাত্রী বোঝাই বাস। এখনও তার উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি তার মধ্যেই লাহুল-স্পিতি জেলায় শুক্রবার এত বড় ধসের ঘটনা ঘটেছে যার ফলে চন্দ্রভাগা নদীর স্বাভাবিক গতিপথই বন্ধ হয়েছে গিয়েছে। যার ফলে তৈরি হয়েছে একটি লেক। যা যে কোনও সময় অতিরিক্ত জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে গ্রামের পর গ্রাম। আগাম সতর্কতা স্বরূপ ১৩টি গ্রাম থেকে ২০০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এর ফলে কোনও মানুষের ক্ষতির কোনও খবর নেই।
তবে এএফপির খবর অনুযায়ী ওই এলাকার ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। যেকোনও সময় ফ্ল্যাশ ফ্লাডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রান ঠাকুর পরে অবশ্য টুইট করে জানিয়েছেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া নদী মুখের একটা অংশ খুলেছে। যার ফলে চন্দ্রভাগার জল তার স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পাচ্ছে, তাতে কমছে বন্যার আশঙ্কা।
তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘যে তথ্য আমি পাচ্ছি, এখন নদীর গতি পথ খুলছে। জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কারও কোনও ক্ষতি না হয় এর কারণে। আমি স্থানীয় মানুষদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি নদীর কাছে না যেতে এবং ধসপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকতে।’’ লাহুল-স্পিতির জেলার ডেপুটি কমিনার নীরজ কুমার জানিয়েছিলেন, সকাল ৯.৩০ নাগাদ এই ধস নামে। যা নদীমুখকে বন্ধ করে দেয়।
একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে পাহাড়ের গা থেকে বিপুল পরিমানে কাদা, মাটি, পাথর নেমে আসছে নদীতে। গত মাসে লাহুল-স্পিতিতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে আটকে পড়েছি ১৭৫ জন ট্যুরিস্ট। এর পর সিরমোরের সেই ভয়ঙ্কর ভূমি ধসের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় যেখানে পুরো একটা রাস্তা খাদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। ১০০ মিটার রাস্তা পুরোপুরি ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিল।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)