জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হতাশ ভিনেশ ফোগত শেষ পর্যন্ত নির্বাসন নিয়ে মুখ খুললেন। ক তো অলিম্পিক ২০২০-র মঞ্চ তাঁকে সাফল্য এনে দিতে পারেনি। যদিও তাঁকে ঘিরে ছিল অনেক প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি তিনি। তার মধ্যেই বড় ধাক্কা দিয়েছে নির্বাসন। জাপান থেকে ফেরার পরই ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশন তাঁকে অনিয়মানুবর্তিতার জন্য নির্বাসিত করেছে। টোকিও অলিম্পিকে তিনি ৫৩ কেজি ফ্রি স্টাইল বিভাগে বেলারুসের ভানেসা কালাদজিনকায়ার কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যান। তার আগে ২৬ বছরের ভিনেশ রিও অলিম্পিক থেকে ৫ বছর আগে কুস্তির রিং ছেড়েছিলেন স্ট্রেচারে করে। ভেবেছিলেন এবার সুদে-আসলে উসুল করে নেবেন কিন্তু বিধিবাম। এবারও হল না। তার উপর নির্বাসনের খাঁড়া।
ভারতের অলিম্পিক ইতিহাসে সফলতম অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে এই বছরটি। দেশে ফিরে এসেছেন সব অলিম্পিয়ানরা। কেউ সফল হয়েছেন কেউ ব্যর্থ কিন্তু দেশের কছে তাঁরা সকলেই তারকা। তাই দেশ জুড়ে সেলিব্রেশন চলছেই। রাজধানী হয়ে যে যার রাজ্যে, জেলায়, গ্রামে ফিরেছেন। সেখানেও এক প্রস্থ উৎসব তাঁদের ঘিরে। কিন্তু একরাশ অন্ধকারে ডুবে রয়েছেন ভিনেশ ফোগত।
শুক্রবার তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমি জানি না কবে ফিরতে পারব। হয়তো পারব না। আমার মনে হচ্ছে ভাঙা পায়ে আমি ভাল ছিলাম। আমার কিছু ঠিক করার ছিল। এখন আমার শরীরে ভাঙা নেই কিন্তু আমি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছি। আমি জানি ভারতে তত দ্রুত নামবে যত দ্রুত উঠবে এবং সব শেষ হয়ে যাবে।’’
২০১৭-তে অসুস্থ হয়ে পড়া এবং দু’বার কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়া তাঁর টোকিও অলিম্পিকের প্রস্তুতির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দু’বারের কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন শরীরের থেকেও বেশি নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে লড়াই করছেন। সাইকোলজিস্টের সঙ্গেও কথা বলেছেন তবে বুঝতে পারছেন ভারতে এই বিষয়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
সিমন বাইলসের উদাহরণ টেনে এনে বলেন, ‘‘ও ওর বেশিরভাগ ইভেন্টেই নামেনি মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে কারণ ও মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল না অলিম্পিকে পারফর্ম করার জন্য। যখন ও ওর মানসিক স্বাস্থ্যের কথা জানিয়েছে তখন বাহবা পেয়েছে। আমরা ওর জীবনকে সেলিব্রেট করেছি। আমি শুধু এটা বলার চেষ্টা করছি ভারতে, কুস্তি থেকে নাম তুলে নেওয়ার কথা তো ভুলেই যান, শুধু চেষ্টা করে দেখুন এটা বলার যে আপনি তৈরি নন।’’
হতাশার সঙ্গে সঙ্গে ভিনেশ ফোগতের প্রতিটি কথা ইঙ্গিত করছে ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের দিকে। দেশের সফলতম মহিলা কুস্তিগীর এতটাই হতাশ যে আর কখনও কুস্তির রিংয়ে ফিরতে পারবেন তা নিয়েও নিশ্চিত হতে পারছেন না। স্বপ্ন দেখতে পারছেন না। মানসিক স্বাস্থ্যের কথা তিনিও জানিয়েছেন, কিন্তু কেউ কি বুঝতে পেরেছেন যে এদেশের ক্রীড়াবিদরাও মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারেন।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)