ক্লান্তি কাটাতে Coffee কতটা স্বাস্থ্যকর, কিই বা হতে পারে তার বিকল্প

Coffee

আপনি কি দিনটি শক্তিতে ভরপুর শুরু করেন কিন্তু বিকেলের মধ্যে হঠাৎ করে শক্তির মাত্রা কমে যায়? এই সাধারণ ঘটনাটি আপনার জীবনের মানকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে পারে। ক্রমাগত ক্লান্তি কেবল আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যকেই নয়, আপনার মানসিক সুস্থতা এবং মানসিক স্থিতিশীলতার উপরও প্রভাব ফেলে। কম শক্তি কর্মক্ষেত্রে বা স্কুলে উৎপাদনশীলতা হ্রাস করতে পারে, যার ফলে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে চাপ এবং হতাশা বৃদ্ধি পেতে পারে। কম শক্তির মাত্রা মোকাবেলা করার প্রচেষ্টায়, অনেকেই Coffee-এর দিকে ঝুঁকছেন। তবে, এই সহজ অভ্যাসটি অতিরিক্ত ক্যাফিনের দিকে পরিচালিত করতে পারে যা উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে।

কফির মাধ্যমে শক্তির মাত্রা বাড়ানো কি ক্ষতিকর?


কফিতে থাকা ক্যাফিন উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে, সাময়িকভাবে সতর্কতা বৃদ্ধি করে এবং ক্লান্তি কমায়। যদিও এটি একটি স্বল্পমেয়াদী সমাধান প্রদান করতে পারে, কফির উপর অতিরিক্ত নির্ভর করলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

“শক্তির জন্য ঘন ঘন কফি ব্যবহার করা কারও জন্য ভালো নয় কারণ এটি আপনাকে নির্ভরশীল করে তোলে, আপনার শরীরের সজাগ থাকার স্বাভাবিক ক্ষমতা নষ্ট করে এবং আপনার ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, এটি ক্লান্তি, উদ্বেগ এবং আপনার কাজে মনোযোগের অভাবের কারণ হয় যা আপনাকে ক্রমাগত আরও ক্যাফিনের আকাঙ্ক্ষায় ভুগতে বাধ্য করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত ক্যাফিন গ্রহণের ফলে সহনশীলতা দেখা দিতে পারে, যার অর্থ একই শক্তি-বর্ধক প্রভাব অর্জনের জন্য আপনাকে আরও কফি পান করতে বাধ্য করতে পারে। যা আপনার উচ্চ রক্তচাপ, দ্রুত হৃদস্পন্দন, হজমের সমস্যা এবং ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি পবাড়াতে পারে। অত্যধিক ক্যাফিন পান উদ্বেগ এবং অস্থিরতার কারণ হতে পারে এবং এটি দেহের পুষ্টিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতির পরিবর্তে, অত্যধিক ক্যাফিন আপনার শরীরকে উদ্দীপিত করে এবং আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রভাব তৈরি করে এবং দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

এই ক্লান্তি বা শক্তির মাত্রা বাড়ানোর স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম, বেশি করে জল পান। এছাড়া প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত পূর্ণ খাবার খাওয়া এবং সক্রিয় থাকা আপনাকে স্বাভাবিকভাবেই আরও উদ্যোমী হতে সাহায্য করতে পারে। কাজের ফাঁকে পাওয়ার ন্যাপ, ধ্যান এবং কফির পরিবর্তে গ্রিন টি পান করা আপনাকে দিনের দীর্ঘ সময় ধরে শক্তির সঙ্গে আরও উজ্জীবিত বোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

শুধুমাত্র কফির উপর নির্ভর না করে, প্রাকৃতিকভাবে আপনার শক্তির মাত্রা বাড়ানোর জন্য কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বাস্তবায়নের কথা বিবেচনা করুন:

১. প্রতিদিন ৭-৯ ঘন্টা ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ঘুমের সময়সূচী মেনে চলা।

২. সারাদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করা, কারণ ডিহাইড্রেশন শারীরিক শক্তি নষ্ট করতে পারে। পরিবর্তনের জন্য আপনি গ্রিন টি বা মাচা ব্যবহার করতে পারেন।

৩. ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সহ পুরো খাবারের উপর বেশি জোর দিতে হবে। এগুলি দ্রুত বৃদ্ধির পরিবর্তে টেকসই শক্তি প্রদান করে।

৪. শারীরিকভাবে কাজ কর্ম চালিয়ে যাওয়া, এমনকি হাঁটার মতো হালকা ব্যায়ামও সামগ্রিক শক্তির মাত্রা বাড়াতে এবং মেজাজ উন্নত করতে পারে।

৫. মানসিক চাপ কমাতে এবং মানসিক স্বচ্ছতা উন্নত করতে আপনার রুটিনে মননশীলতা, ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মতো বিষয়গুলি রাখা আবশ্যক।

৬. চিনি এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট থেকে দূরে থাকাটাই ভালো, এগুলি শক্তির ঘাটতির কারণ হতে পারে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবর

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle