ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ৯ মে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫ (IPL 2025) স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিল। স্থগিতাদেশের পর, বিসিসিআই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছে। তবে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড়, কোচ এবং কর্মকর্তাদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে এই মুহূর্তে।
বিশেষ করে বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। যা খবর তাতে বিদেশি খেলোয়াড়, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের অনেকেই শুক্রবারের মধ্যে তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। বিসিসিআই চেষ্টা করছে যাতে সহজে তারা যে যাঁর দেশে ফিরে যেতে পারে।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর চলতি সামরিক সংঘাত এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এই স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত নিওয়া হয়েছে। আইপিএল কর্মকর্তা এবং বিসিসিআইয়ের মধ্যে একটি জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে খেলোয়াড়, কর্মী এবং সমর্থকদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এই পরিস্থিতিতে আইপিএল অবিলম্বে পুনরায় শুরু করার কোনও তারিখ ঘোষণা করার সম্ভাবনা কম কারণ এটি সরকারের সিদ্ধান্ত মতোই কাজ করবে এবং যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তাদের নির্দেশাবলী অনুসরণ করবে।
“খেলোয়াড়, দর্শক এবং সাপোর্ট স্টাফদের নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা জাতির স্বার্থে যা যা করা উচিত তা করব। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব,” পিবিকেএস বনাম ডিসি ম্যাচ মাঝপথে স্থগিত হওয়ার পর বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছিলেন।
বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে। টুর্নামেন্টে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এবং কোচ জড়িত থাকায়, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অস্থির পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
৮ মে বিমান হামলার সতর্কতার কারণে পঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে আইপিএল ২০২৫ ম্যাচটি খেলার মাঝখানে বাতিল করা হলে পরিস্থিতি আরও আতঙ্কের হয়ে ওঠে। দর্শকদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়, যা তখনই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়।
যদিও আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল প্রাথমিকভাবে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ৯ মে লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মধ্যে ম্যাচটি হবে, তবে এই মুহূর্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে টুর্নামেন্টটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধুমাল নিশ্চিত করেছেন যে বিসিসিআই সরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় এবং সরকারী নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুসরণ করবে।
ইতিমধ্যেই নির্ধারিত ৭৪টির মধ্যে ৫৮টি ম্যাচ শেষ হয়ে গেলেও, বিসিসিআই এখনও আইপিএল ২০২৫ কবে আবার শুরু হতে পারে তার স্পষ্ট সময়সীমা দেয়নি। তবে, জল্পনা রয়েছে যে অগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, এটি ভারতের পরিকল্পিত বাংলাদেশ সফর এবং এশিয়া কাপের সময়ের সঙ্গে একই সময়ে পড়ে যেতে পারে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google