কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের নির্ভুল হামলার পর পাকিস্তান সুপার লিগে (Pakistan Super League) জড়িত ইংরেজ খেলোয়াড়রা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। অনেকেই যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় পাকিস্তান ছেড়ে নিজেদের দেশে ফিরতে চাইছেন। গত বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী স্থানগুলিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর হামলার কয়েক ঘন্টা পর, বুধবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ভারতের আক্রমণ এবং দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা আরও বৃদ্ধি সত্ত্বেও পাকিস্তান সুপার লিগের বাকি ম্যাচগুলি আয়োজন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ড্রোন হামলার পর চিন্তা-ভাবনা হয়তো বদলাবে। তবে বৃহস্পতিবারের ম্যাচটি বাতিল হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
কিন্তু এই সংঘাত দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের রূপ নিতে পারে এই আশঙ্কায়, পিএসএলে থাকা ইংরেজ খেলোয়াড়রা দেশে থাকবেন কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে।
ইংল্যান্ডের সাত খেলোয়াড় – স্যাম বিলিংস, জেমস ভিন্স, টম কারান, ডেভিড উইলি, ক্রিস জর্ডন, টম কোহলার-ক্যানমোর এবং লুক উড – পিএসএলে খেলছেন।
একটি প্রতিবেদন অনুসারে, উইলি এবং জর্ডন তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি মুলতান সুলতানসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন যে তারা দেশে ফিরে যেতে চায় কারণ তাদের দল ইতিমধ্যেই প্লে-অফ থেকে ছিটকে গিয়েছে এবং তাদের আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি আছে।
প্রতিবেদনে উদ্ধৃত সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড এবং পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং এখনও তাদের দেশত্যাগের নির্দেশ দেয়নি, তবে যুক্তরাজ্য সরকারের ভ্রমণ পরামর্শে তারা তা পরিবর্তন করতে পারে।
৭ মে ভোরে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) জুড়ে নয়টি সন্ত্রাসী শিবির লক্ষ্য করে নির্ভুল হামলা চালায়, পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায়, যেখানে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন, ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি নাগরিক।
বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুধুমাত্র জৈশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার মতো আন্তর্জাতিকভাবে মনোনীত গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসী অবকাঠামোর উপর লক্ষ্য রেখেছিল। বেসামরিক হতাহত বা পাকিস্তানের সামরিক সম্পদের ক্ষতি এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল।
