জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলার দ্বিখন্ডিত হওয়া। এই ভাগাভাগি অবশ্য নতুন নয়। একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে। যখনই ফুটবল মাঠে মুখোমুখি হয় কলকাতার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দী ক্লাব (ISL 2022-23 EBFC vs ATKMB), তখনই বাংলার আপামর জনতা দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে যায়। একপক্ষ সবুজ-মেরুন জার্সির পূজারি, অন্যপক্ষ লাল-হলুদ জার্সির। কোন পক্ষে কত সংখ্যা, তা বলা কঠিন। কারণ, তারা তো শুধু এ দেশে সীমাবদ্ধ নন, সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। কেউ মেক্সিকো সিটি থেকে ভিডিও বার্তায় কলকাতার বন্ধুকে বলে ওঠেন ‘জয় ইস্টবেঙ্গল’, কেউ প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের নীচ থেকে চিৎকার করে ওঠেন ‘আমার রক্তে সবুজ-মেরুন’।
রাত পোহালেই উপস্থিত হবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের গ্যালারিতে ৬০ হাজার ফুটবলপ্রেমীর ঢল নামবে এবং তাদের গগনচুম্বী শব্দব্রহ্মে মুখর হয়ে উঠবে শহরের আনাচ-কানাচ। কোন পক্ষ আনন্দ করবে আর কারা হতাশায়, দুঃখে আর্তনাদ করবে, সে তো সময়ই জানে। কিন্তু এটিকে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল এফসি-র দ্বৈরথ শুরু হওয়ার আগে থেকেই আবহের তাপমাত্রা যে রকম চরমে উঠেছে, তা অবর্ণনীয়।
দু’বছর গ্যালারিতে বসে হিরো আইএসএলের ডার্বি দেখতে পাননি দুই দলের সমর্থকেরা। অভুক্ত ফুটবলপ্রেমীদের ভীড় যে শনিবার গ্যালারিতে উপছে পড়বেই, এই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। দু’দিন আগেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, বিক্রির জন্য আর একটিও টিকিট পড়ে নেই। তবু শুক্রবার স্টেডিয়াম চত্ত্বরে দেখা গেল, কিছু মানুষের টিকিট-হাহাকার। একে অপরের উদ্দেশ্যে প্রত্যেকের মুখে একই প্রশ্ন, ‘দাদা, একটা টিকিট হবে’?
ডার্বির আগে দুই দলই দাপুটে জয় পাওয়ায় শনিবারের মহারণ নিয়ে উন্মাদনা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে যেন। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে কোচেরাও ছিলেন কড়া মেজাজে। কেউ কাউকে যে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নন, তা স্পষ্ট জানিয়ে গেলেন দুই ইউরোপিয় কোচই। স্পেনের হুয়ান ফেরান্দো এবং ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন ইংরেজ কোচ স্টিফেন কনস্টান্টাইন, দুজনেই জানিয়ে গেলেন, জিততেই মাঠে দল নামাবেন তাঁরা। গত দুই মরশুমে টানা চার ডার্বিতে হেরেছে যারা, সেই লাল-হলুদ শিবিরও আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছে। তাই ম্যাচের ফল নিয়ে অনিশ্চয়তার অন্ধকার যেন আরও গাঢ় হয়ে গিয়েছে। কোন দিক দিয়ে কারা এগিয়ে, কারা পিছিয়ে বা আদৌও কেউ এগিয়ে-পিছিয়ে আছে কি না, তা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখে নেওয়া যাক বরং।
পারফরম্যান্সের খতিয়ান
এটিকে মোহনবাগান: এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল ও ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বে অসফল হওয়ার পর চলতি হিরো আই এসএলের শুরুতেও হোঁচট খায় হুয়ান ফেরান্দোর দল। ঘরের মাঠে চেন্নাইন এফসি-র কাছে ১-২ হার দিয়ে এ বারের লিগ অভিযান শুরু করে তারা। এই হারের পরেও তাঁর শিবির খুব একটা হতাশ নয় বলে জানিয়ে কোচ সে দিন বলেছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের জন্য তৈরি হচ্ছে তারা। সে কথায় যে কোনও খাদ নেই, তা একেবারে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেন কোচিতে গিয়ে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৫-২-এ হারিয়ে। একেই এগারো জন দুর্ধর্ষ ফুটবলারের মুখোমুখি হওয়া, তার ওপর গ্যালারিতে হাজার হাজার সমর্থকের কান ফাটানো উল্লাস ও চিৎকার। এই দুইয়ের বিরুদ্ধে খেলেও যে তাদের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় পাওয়া সম্ভব, তা সে দিন দেখিয়ে দেয় গত হিরো আইএসএলের সেমিফাইনালিস্ট এটিকে মোহনবাগান।
অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দিমিত্রিয়স পেট্রাটস তাঁর হ্যাটট্রিকটি পূর্ণ করে ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ৫-২-এ জয় এনে দেন দলকে। বাকি দুটি গোল করেন জনি কাউকো ও লেনি রড্রিগেজ। সে দিন এটিকে মোহনবাগানের খেলায় দেখা যায় আসল টিমওয়ার্ক। যা শনিবারের ডার্বিতেও বজায় থাকলে চিন্তায় পড়তে হতে পারে ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে।
ইস্টবেঙ্গল এফসি: মরশুমের শুরুটা খুব একটা ভাল করতে পারেনি স্টিফেন কনস্টান্টাইনের লাল-হলুদ বাহিনী। ডুরান্ড কাপে চারটি ম্যাচ খেলে একটিতে জেতে তারা ও দুটিতে ড্র করে। হারে একটিতে। চার গোল দিয়ে চার গোল খায়। রানার্স-আপ মুম্বই সিটি এফসি-কে শেষ গ্রুপ ম্যাচে ৪-৩-এ হারায় তারা। তবে ডুরান্ডে যে জায়গায় শেষ করেছিল লাল-হলুদ বাহিনী, সেই জায়গা থেকে হিরো আইএসএল শুরু করতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ৭২ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য রাখার পর ১-৩-এ হারে ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে একেবারে শেষে চার মিনিটের স্টপেজ টাইমে এডু বেদিয়ার জয়সূচক গোলে ১-২-এ ম্যাচ হারতে হয় তাদের।
তবে গত ম্যাচে গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে অন্য রূপে দেখা যায় লাল-হলুদ বাহিনীকে। শুরু থেকেই ‘দুর্বল’ প্রতিপক্ষ নর্থইস্ট ইউনাইটেডের ওপর কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে স্টিফেন কনস্টান্টাইনের দল। নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-কে তাদের ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে হারিয়ে লিগ টেবলে প্রথম পয়েন্ট অর্জন করে তারা। ১১ মিনিটের মধ্যেই দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ক্লেটন সিলভা। প্রথমার্ধের দাপটের পরে দ্বিতীয়ার্ধেরও শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে তারা এবং ৫৩ মিনিটেই দ্বিতীয় গোল আসে ম্যাচের সেরা চ্যারিস কিরিয়াকুর পা থেকে। নর্থইস্টের বিরুদ্ধে জয় সুনিশ্চিত করেন অস্ট্রেলিয়ান মিডফিল্ডার জর্ডন ও’ডোহার্টি। নর্থইস্টের পক্ষে বাড়তি সময়ে একটি গোল শোধ করেন ম্যাট ডার্বিশায়ার। এই জয় থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস ডার্বিতে লাল-হলুদ বাহিনীর হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
দুই শিবিরের খবর
এটিকে মোহনবাগান: গত হিরো আইএসএল মরশুমে এটিকে মোহনবাগান লিগ পর্বে ২৬টি গোল খেয়েছিল, যা চার সেমিফাইনালিস্টের মধ্যে ছিল সবচেয়ে বেশি। তাই এ বার দলবদলের শুরুতেই রক্ষণ মজবুত করার দিকে জোর দেন কোচ ফেরান্দো। দুই বিদেশি ডিফেন্ডার গিনির ফ্লোরেন্তিন পোগবা ও অস্ট্রেলিয়ার ব্রেন্ডান হ্যামিলকে আনে এটিকে মোহনবাগান। যোগ দেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসি থেকে আসা ডিফেন্ডার আশিস রাইও।
কিন্তু এই ডিফেন্স লাইন-আপকেও তেমন শক্তিশালী মনে হচ্ছে না। পোগবাকে তো প্রথম এগারোয় দেখাই যাচ্ছে না। দুই ম্যাচে চার গোল খেয়েছে তারা। গত মরশুম পর্যন্ত যে কাজটা করেছেন রয় কৃষ্ণা, সেই দায়িত্ব এ বার নবনিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পাঁচ ফুট ন’ইঞ্চির দিমিত্রিয়স পেট্রাটসকে দেওয়া হয়েছে। গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেই পেট্রাটস প্রমাণ করেছেন, তিনি সেই দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট।
যে বিধ্বংসী দলটি ব্লাস্টার্সকে ৫-২-এ হারায়, সেই দলই হয়তো এই ম্যাচে নামাবেন কোচ ফেরান্দো। কারণ, সেই ম্যাচের ১৩ দিন পর দল মাঠে নামছে। এর মধ্যে কারও চোট-আঘাত হয়ে থাকলেও এতদিনে নিশ্চয়ই সেরে উঠেছেন। তবে দূর্গ সামলানোর জন্য রক্ষণে শুভাশিস বোসকে আনা হয় কি না, সেটাই দেখার। গত ম্যাচে গোল করার পুরস্কার হিসেবে লেনি রড্রিগেজও প্রথম এগারোয় আসতে পারেন।
ইস্টবেঙ্গল এফসি: প্রথম ম্যাচে প্রথমার্ধে কিছুটা আত্মবিশ্বাসের অভাব ঘটলেও ক্রমশ ম্যাচে ফিরে আসে লাল-হলুদ বাহিনী ও দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে। তবু গত ম্যাচে চারটি পরিবর্তন করে দল নামান লাল-হলুদ কোচ। এই ব্যাপারে বেশ নির্দয় তিনি। যখন যাঁকে দরকার, তাঁকেই রাখবেন। শনিবার অ্যালেক্স লিমাকে শুরু থেকে দেখা যাবে কি না, এটা যেমন একটা বড় প্রশ্ন, তেমনই বড় প্রশ্ন, সেক্ষেত্রে কি কিরিয়াকুকে বসাবেন? গত ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়কে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেই সোজা হবে না। রক্ষণে সার্থক গলুইয়ের জায়গায় অঙ্কিত মুখার্জিকে শুরু থেকে নামাতে পারেন স্টিফেন। মোবাশির রহমান, তুহীন দাসকেও প্রথম এগারোয় দেখলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
নজরে যে তারকারা
দিমিত্রিয়স পেট্রাটস (অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, এটিকে মোহনবাগান)
কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে যিনি সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছেন, সেই অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা পেট্রাটসের ওপর নজর থাকবে শনিবার। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবেন কি, তা তো সময়ই বলে দেবে। তবে হিরো আইএসএলের দ্বিতীয় ম্যাচেই যে নায়কোচিত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন সকলের প্রিয় ‘দিমি’। তাতে তিনিই এখন সবুজ-মেরুন শিবিরের ভরসা। লিগ শুরুর আগেই যাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমার কাজ গোল করে দলকে সাহায্য করা”, সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচে সে কথা রাখতে না পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই পেট্রাটস বুঝিয়ে দিয়েছেন এই দলে গোল করাই তাঁর কাজ এবং সতীর্থদের সাহায্য পেলে আরও অনেক গোল করতে পারেন তিনি। সে দিন একাই তিন-তিনটে গোল করে দলের কঠিন জয় সুনিশ্চিত করেন তিনি। দিমি স্বীকার করেছেন, সতীর্থদের সাহায্য ছাড়া এই হ্যাটট্রিক করতে পারতেন না তিনি। এই সাহায্য, বোঝাপড়া শনিবারও বজায় থাকলে ফের নায়ক হয়ে উঠতে পারেন পেট্রাটস।
ক্লেটন সিলভা (ফরোয়ার্ড, ইস্টবেঙ্গল এফসি)
তিন ম্যাচে দুই গোল করে ফেলেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। শনিবার ডার্বিতে স্টিফেন কনস্টান্টাইনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন ৩৫ বছর বয়সি এই তারকা, যাঁর হিরো আইএসএলে ৪০টি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। ভারতের এক নম্বর লিগে খেলার অভিজ্ঞতার দিক থেকে তিনি বেশ এগিয়ে। এই ৪০ ম্যাচে ১৮টি গোল ও সাতটি অ্যাসিস্ট আছে তাঁর। গত ম্যাচে ১১ মিনিটের মাথাতেই ক্লেটন যে গোলটি পান, তা ছিল সেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, যে আত্মবিশ্বাস তাদের সে দিন আগাগোড়া আগ্রাসী হতে সাহায্য করে। প্রতিপক্ষের বক্সে তাদের এক ডিফেন্ডারের পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে নাওরেম সিং দেন ক্লেটনকে। ঠাণ্ডা মাথায় তা গোলে ঠেলে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। আসলে সে দিন তিনি ফরোয়ার্ডের পিছন থেকে খেলায় অনেকটাই স্বাধীনতা পান। শনিবারও হয়তো একই জায়গায় দেখা যাবে তাঁকে। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল পান তিনি। প্রতিপক্ষ অবশ্য তাঁকে আটকানোর প্রবল চেষ্টা করবে ও কড়া মার্কিংয়ে রাখবে। সেই ব্যারিকেড ভেঙে কী করে নিজেকে কার্যকরী করে তোলেন, সেটাই দেখার।
দ্বৈরথের ইতিহাস
হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট চারবার। চারবারই জিতেছে এটিকে মোহনবাগান। ২০২০-২১ মরশুমে প্রথম মুখোমুখিতে ২-০-য় জিতেছিল সবুজ-মেরুন শিবির। দ্বিতীয় লেগে তারা জেতে ৩-১-এ। গত মরশুমে প্রথম লেগে ৩-০-য় ও দ্বিতীয় লেগে ৩-১-এ জেতে এটিকে মোহনবাগান। এই চার ম্যাচে মোট ১৩ গোল হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র দু’টি করেছে লাল-হলুদ শিবির। বাকি ১১টি গোল করেছে এটিকে মোহনবাগান। অর্থাৎ, ইতিহাস এগিয়েই রাখছে ফেরান্দোদের। তবে ফুটবল বহুবারই ইতিহাসকে অগ্রাহ্য করে পুরোপুরি অন্য ছবি তুলে ধরেছে। এ বারও সে রকমই কিছু হয় কি না, সেটাই দেখার।
এটিকে মোহনবাগান স্কোয়াড: গোলকিপার- বিশাল কয়েথ, অর্শ শেখ, দেবনাথ মন্ডল; ডিফেন্ডার- আশিস রাই, ব্রেন্ডান হ্যামিল, দীপক টাঙরি, ফ্লোরেন্তিন পোগবা, প্রীতম কোটাল, রবি রাণা, শুভাশিস বোস, সুমিত রাঠি; মিডফিল্ডার- অভিষেক সূর্যবংশী, কার্ল ম্যাকহিউ, ইঙ্গসন সিং, হুগো বুমৌস, জনি কাউকো, লালরিনলিয়ানা হ্নামতে, লেনি রড্রিগেজ, আশিক কুরুনিয়ান, রিকি সাবং; ফরোয়ার্ড- দিমিত্রিয়স পেট্রাটস, কিয়ান নাসিরি, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, মহম্মদ ফারদিন আলি মোল্লা।
ইস্টবেঙ্গল স্কোয়াড: গোলকিপার- পওয়ান কুমার, কমলজিৎ সিং, নভিন কুমার; ডিফেন্ডার- সার্থক গলুই, মহম্মদ রফিক, ইভান গঞ্জালেজ, চারালাম্বোস কিরিয়াকু, অঙ্কিত মুখার্জি, লালচুঙনুঙ্গা, জেরি লালরিনজুয়ালা, প্রীতম কুমার সিং, নবি হুসেন খান; মিডফিল্ডার- অমরজিৎ সিং কিয়াম, তুহীন দাস, আঙ্গুসানা ওয়াহেংবাম, অ্যালেক্স লিমা, শৌভিক চক্রবর্তী, জর্ডান ও’ডোহার্টি, মহেশ সিং নাওরেম, মোবাশির রহমান, অনিকেত যাদব, সুমিত পাসি, হিমাংশু জাঙরা; ফরোয়ার্ড- এলিয়ান্দ্রো, ক্লেটন সিলভা, সেম্বয় হাওকিপ, ভিপি সুহের।
কিক অফ- ২৯ অক্টোবর, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়, কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে
সম্প্রচার- স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক, হটস্টার ও জিও টিভি
(লেখা আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google