ISL 8 ATKMB vs MCFC ম্যাচে লড়াই করেও ড্র সবুজ-মেরুনের

ISL 8 ATKMB vs MCFC

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ফের অল্পের জন্য মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে প্রথম জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হল তাদের (ISL 8 ATKMB vs MCFC)। তবে হিরো আইএসএলের কঠিনতম প্রতিদ্বন্দীদের এই প্রথম জিততে দিল না এটিকে মোহনবাগান। বৃহস্পতিবার ফতোরদার পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে দুই দলের মধ্যে ফুটবলযুদ্ধের তীব্রতা ওঠে চরমে। দুই দলই প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করে এবং হাতছাড়াও করে। দু’পক্ষের আক্রমণ ও রক্ষণ বিভাগের মধ্যে তুমুল লড়াইয়ের শেষে ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র। ন’মিনিটের মাথায় ভারতের সেরা লিগে ৫০ তম ম্যাচ খেলতে নামা ডেভিড উইলিয়ামসের গোলে এটিকে মোহনবাগান এগিয়ে যায়। কিন্তু এই গোলের ১৫ মিনিট পরে তাঁরই সতীর্থ ডিফেন্ডার প্রীতম কোটালের নিজ গোলে সমতা আনে মুম্বই সিটি এফসি।

দুই দলই এ দিন ৪-২-৩-১ ছকে দল সাজিয়ে খেলা শুরু করে। শুরুতেই ফ্রি কিক থেকে আহমেদ জাহুর গোলমুখী শট বাঁচিয়ে সবুজ-মেরুন গোলকিপার অমরিন্দর বুঝিয়ে দেন, তিনি এ দিন তাঁর প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়েই নেমেছেন। ডেভিড উইলিয়ামসের যে গোলে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান, তাতে বুমৌসের যথেষ্ট অবদান ছিল। মাত্র ৯ মিনিটের মাথায় মুম্বইয়ের বক্সের মধ্যে আহমেদ জাহুর ভুল পাস ধরে সোজা গোলে শট নেন ডেভিড (১-০)। বুমৌসের চাপেই ভুলটা করেন জাহু। প্রথম লেগের ম্যাচেও একমাত্র গোলটি ডেভিডই করেছিলেন।

ম্যাচের বয়স কুড়ি মিনিট হওয়ার আগেই দু’টি কর্নার ও আটটি ফ্রি কিক আদায় করে নেয় সবুজ-মেরুন শিবির। বল পজেশনেও এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু এই সময়ের পর থেকেই মুম্বই ম্যাচে ফিরতে শুরু করে এবং ২৪ মিনিটের মাথায় সমতাও এনে ফেলে। বাঁ দিকের উইংয়ে বিপিন সিংয়ের পা থেকে বিক্রম সিংয়ের উদ্দেশ্যে উড়ে আসা বল হেড করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের গোলেই বল ঠেলে দেন অধিনায়ক প্রীতম (১-১)। তবে প্রতিআক্রমণ বন্ধ করেনি এটিকে মোহনবাগান। এমনই এক কাউন্টার অ্যাটাকে পাওয়া ফ্রিকিক থেকে হেড করে প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন ডেভিড। কিন্তু বল দ্বিতীয় পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণের ধার বাড়াতে দিয়েগো মরিসিওর জায়গায় আট গোল করা ইগর অ্যাঙ্গুলোকে নামান মুম্বইয়ের কোচ ডেস বাকিংহাম। এই সিদ্ধান্ত কাজেও লাগে তাদের। মুম্বইয়ের আক্রমণের ধার আরও বাড়ে। খাপছাড়া মাঝমাঠকে নতুন করে সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে এটিকে মোহনবাগান কোচ ফেরান্দো ৫৬ মিনিটের মাথায় ডেভিড উইলিয়ামসের জায়গায় জনি কাউকোকে মাঠে নামান। এর পরেই বিক্রম সিংকে তুলে সদ্য দলে যোগ দেওয়া লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতেকে নামান বাকিংহাম।

নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে মাঠে আসেন ডার্বিতে হ্যাটট্রিকের নায়ক, সুপারসাব কিয়ান নাসিরি। আশুতোষের জায়গায় তাঁকে নামানো হয় জয়সূচক গোলটি করার জন্য। তবে তিনি এই ম্যাচে কোনও ম্যাজিক দেখানোর সুযোগ পাননি। শেষ পাঁচ মিনিটে জয়সূচক গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দলই। চার মিনিটের স্টপেজ টাইমে ডান দিক দিয়ে তৈরি হওয়া আক্রমণে প্রবীরের ফাইনাল পাস থেকে মনবীর গোলে কোণাকুনি শট নেন, কিন্তু এ বারও তা সেভ করেন নাওয়াজ। এটাই ছিল সবুজ-মেরুন শিবিরের জেতার শেষ সুযোগ।

এটিকে মোহনবাগান দল: অমরিন্দর সিং (গোল), তিরি, আশুতোষ মেহতা (কিয়ান নাসিরি), শুভাশিস বোসপ্রীতম কোটাল (অধি), কার্ল ম্যাকহিউদীপক টাঙরি (প্রবীর দাস)ডেভিড উইলিয়ামস (জনি কাউকো), হুগো বুমৌস, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসো।

(লেখা ও ছবি আইএসএল ওয়েবসাইট)

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)