জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আইএসএল ৮, এসসি ইস্টবেঙ্গল বনাম জামশেদপুর এফসি ম্যাচে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল কলকাতার দলকে। হিরো আইএসএল-এ এ বারের মরশুম ১-১ ড্র দিয়ে শুরু করল এসসি ইস্টবেঙ্গল। গত মরশুমে যাদের কাছে একটি ম্যাচেও হারেনি তারা, সেই জামশেদপুর এফসি এ বারেও হারাতে পারল না লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। ১৭ মিনিটে দেওয়া গোলে প্রথমার্ধের শেষ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থাকলেও সেই ব্যবধান ধরে রাখতে পারেনি কলকাতার ক্লাব। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই জয়সূচক গোলের জন্য মরিয়া চেষ্টা করলেও গোলের দরজা খুলতে পারেনি কেউই।
রবিবার তিলক ময়দানে একেবারে নতুন দল নিয়ে নামা এসসি ইস্টবেঙ্গলকে এ দিন শুরুর দিকে আগোছাল লাগলেও ১৭ মিনিটের মাথায় ক্রোয়েশিয়ান স্টপার ফ্রানিও পর্চের ব্যাকভলিতে করা গোলের পরেই তারা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ে ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোলের সামনে ‘আনমার্কড’ জামশেদপুর অধিনায়ক পিটার হার্টলে তাঁর দলকে সমতা এনে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক সুযোগ পেলেও কোনও দলই গোলের দরজা খুলতে পারেনি। এ দিন ৪-৪-২ ছকে দল সাজান এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ হোসে মানুয়েল দিয়াজ। আক্রমণ বিভাগে প্রত্যাশিত ভাবেই ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার আন্তোনিও পেরোসেভিচ ও নাইজেরিয়ার ড্যানিয়েল চিমা। অন্য দিকে জামশেদপুরের কোচ আওয়েন কোইল দল সাজান ৪-৩-৩ ছকে। তিনি সামনে রাখেন দলের প্রধান অস্ত্র নেরিয়ুস ভাল্সকিস, বরিস সিং ও সেমিনলেন দুঙ্গেলকে।
এসসি ইস্টবেঙ্গল কাজের কাজটি করে ফেলে ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায়। দর্শনীয় ব্যাকভলি থেকে গোল করেন সেন্টার ব্যাক ফ্রানিও পর্চে। কর্নারের পর রেহনিশের হাত-ফেরৎ বলে গোলের সামনে থেকে ব্যাকপাস করেন পেরোসেভিচ। সেই নিখুঁত পাস থেকেই গোলটি করেন ক্রোয়েশিয়ার অনূর্ধ্ব ২১ জাতীয় দলের স্টপার পর্চে, যিনি আবার ইতালির ‘সিরি আ’ ক্লাব লাজিওর প্রাক্তন যুব খেলোয়াড়। পর্চের ব্যাকভলি জামশেদপুরের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে গতিপথ বদলে ঢুকে যায় গোলে। ২৮ মিনিটের মাথায় ডানদিক দিয়ে ওঠা পেরোসেভিচের মাটি ঘেঁষা গোলমুখী শট আটকে দেন ইস্পাতনগরীর দলের বঙ্গ ফুটবলার প্রণয় হালদার। ৩৩ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে আসা নিখুঁত ক্রসে অসাধারণ ফিনিশ করে জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন টমিস্লাভ, কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় সেই গোল বাতিল হয়ে যায়।
এক গোলে পিছিয়ে থাকা জামশেদপুর অবশ্য হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকেনি। প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে গোল শোধ করেন অধিনায়ক পিটার হার্টলে। এই গোলটিও হয় কর্নার থেকে। উড়ে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে গোলের সামনে বাঁ দিকে হার্টলেকে দেন নেরিয়ুস ভাল্সকিস। অরক্ষিত হার্টলের বুকে লেগে বল ঢুকে যায় গোলে।
দুই দলই একাধিক পরিবর্তন করার পরে শেষ দিকে খেলা জমে ওঠে। দুই পক্ষই জয়সূচক গোল পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে সেই সময় দু’পক্ষই তাদের রক্ষণ বেশ আঁটোসাঁটো করে নেয়। তাই তখন দূরপাল্লার শটই ছিল গোলের সেরা উপায়। স্টপেজ টাইমে ঠিক এই রাস্তাই অবলম্বন করেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্ত খেলোয়াড় জ্যাকিচন্দ। প্রায় মাঝমাঠ থেকে তাঁর দূরপাল্লার শটে একটু গতি কম থাকলে বল সোজা গোলে ঢুকত। রেহনিশ অনেকটা এগিয়ে আসায় তিনিও বলের নাগাল পাননি। কিন্তু সেই শট বারের সামান্য ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এর পরে আর সুযোগ পায়নি তারা।
এসসি ইস্টবেঙ্গল দল: অরিন্দম ভট্টাচার্য (গোল), টমিস্লাভ মর্চেলা, হীরা মন্ডল, ফ্রানিও পর্চে, ওয়াহেংবাম লুয়াং (অমরজিৎ কিয়াম), সৌরভ দাস (জয়নার লরেঙ্কো), লালরিনলিয়ানা হামতে (জ্যাকিচন্দ সিং), বিকাশ জায়রু, মহম্মদ রফিক, আন্তোনিও পেরোসেভিচ, ড্যানিয়েল চিমা (আমির দার্ভিসেভিচ)।
(তথ্য ও লেখা আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)