জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দু’বারের কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় ভারোত্তলক সঞ্জিতা চানুকে গত বছর ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার জন্য জাতীয় অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (NADA) চার বছরের জন্য নির্বাসিত করল। গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে গুজরাতে জাতীয় গেমসের সময় ডোপ পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছিল সঞ্জিতাকে। যেখানে তাঁর নমুনায় অ্যানাবলিক স্টেরয়েড – ড্রস্ট্যানোলোন মেটাবোলাইট – – যা ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির (WADA) নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে। ভারতীয় ভারোত্তোলন ফেডারেশনের (আইডিব্লিউএফ) সভাপতি সহদেব যাদব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। “হ্যাঁ, তাকে NADA চার বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে,” তিনি পিটিআইকে বলেছেন।
সঞ্জিতার জন্য এটি একটি বিশাল ধাক্কা। এর কারণে কেড়ে নেওয়া হবে তাঁর জাতীয় গেমসে রুপোর পদক। সঞ্জিতার সঙ্গে অবশ্য এই নিয়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে মীরাবাই চানুকে পিছনে ফেলে ৪৮ কেজি বিভাগে সোনা জিতেছিলেন সঞ্জিতা। গোল্ড কোস্টে ২০১৮ সংস্করণে, তিনি ৫৩ কেজি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে এখনও আবেদন জানাতে পারেন সঞ্জিতা। তবে এটা নিশ্চিত নয় তিনি সেটা করবেন কিনা। গত জানুয়ারিতে তিনি পিটিআইকে বলেছিলেন, ‘‘আমি ইতিমধ্যেই এর মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, তাহলে আমি আবার কেন ডোপ করব আর এর মধ্যে দিয়ে যাব?আমি জানি না এর বিরুদ্ধে আবেদন জানাবো কিনা। যাই হোক না কেন আমিই হারব।’’
এটি প্রথমবার নয়। যে ২০১১ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী নিজেকে ডোপ বিতর্কে জড়িয়েছেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আগে অ্যানাবলিক স্টেরয়েড টেস্টোস্টেরনের জন্য পরীক্ষা করার পরে তাঁকে ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ফেডারেশন (IWF) দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
নমুনায় অসঙ্গতির কারণে ২০২০ সালে বিশ্ব ডোপিং সংস্থা সঞ্জিতার বিরুদ্ধে ডোপিংয়ের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। “আমি আগেও এই অবস্থার মধ্যে পড়েছি। কিন্তু কীভাবে এটি ঘটছে তা আমি বুঝতে পারছি না। সেই ঘটনার পর থেকে, আমি আমার খাদ্য এবং সবকিছুর বিষয়ে খুব সতর্ক থেকেছি। আমি আমার পরিপূরকগুলি যত্ন সহকারে পরীক্ষা করি এবং জেনে নিই যে সেগুলো সমস্ত ডোপ মুক্ত কিনা। “তিনি বলেছিলেন।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google