জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এটিকে মোহনবাগানের মতো দলের বিরুদ্ধে ভুল করলে যে শাস্তি পেতেই হবে তাদের, তা আগের দিনই সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রায় সাড়ে ৬২ হাজার দর্শকের সামনে তাদের কাছে ০-২-এ হারার পরে ইস্টবেঙ্গল এফসি-র কোচ স্টিফেন কনস্টান্টাইন (Stephen Constantine) বললেন, তাঁদের ভুলের খেসারতই দিতে হল। গোলকিপারে কমলজিৎ সিংকে বা ভাগ্যকে দোষারোপ করতেও রাজি নন স্টিফেন। বললেন, প্রথমার্ধে তাঁরা জোড়া গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের ছবিটাই অন্যরকম হয়ে যেত। কলকাতা ডার্বির পরে সাংবাদিক বৈঠকে আর কী কী বললেন লাল-হলুদ কোচ? জেনে নিন।
আপনারা সারা ম্যাচে ভাল খেললেও গোলকিপারের ভুলে ম্যাচটা হারতে হল। এই ব্যাপারে কি আপনি একমত?
প্রথমেই দুই দলের সমর্থকদের অবিনন্দন জানাই, অসাধারণ পরিবেশ দেওয়ার জন্য। জয়ের জন্য এটিকে মোহনবাগানকে অভিনন্দন। ফুটবলে ভুলভ্রান্তি হয়েই থাকে। আজ হয়তো গোলকিপারের ভুল হয়েছে। পরের সপ্তাহে অন্য কেউ ভুল করতে পারে। একা গোলকিপারকে দোষ দেওয়া উচিত নয়। প্রথমার্ধে আমরাই আধিপত্য করেছি। গোলের একাধিক সুযোগ পেয়েছি। আমরা আগে গোল করে দিতে পারলে ম্যাচের ছবিটাই হয়তো অন্য রকম হত। প্রথম গোলটা খাওয়ার পরে পরিস্থিতি খুবই কঠিন হয়ে পড়ে এবং সেই গোলটার ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আমরা দ্বিতীয় গোল খেয়ে যাই।
হেরে গেলেও এই ম্যাচ থেকে কী কী ইতিবাচক দিক পেলেন?
আগেও বলেছি আমরা নতুন করে দলটা তৈরি করছি। দল থেকে ম্যানেজমেন্ট অনেক কিছুই নতুন আমাদের। তাই পুরো তৈরি হতে সময় লাগবে। তবে প্রতি ম্যাচে আমরা উন্নতি করছি। আজ আমরা এখন পর্যন্ত সেরা দলের বিরুদ্ধে খেললাম, যে দলের ৫-৬ জন খেলোয়াড় অসাধারণ। এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি আছে। এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছুই শেখা হল আমাদের। সেগুলো ভবিষ্যতে কাজে লাগবে আমাদের। আপাতত চেন্নাইনের বিরুদ্ধে আমাদের পরের ম্যাচেই মনোনিবেশ করতে হবে।
আজকের ম্যাচে ব্যক্তিগত দক্ষতাই কি তফাৎ গড়ে দিল বলে মনে হয় আপনার?
যে দলে বুমৌস, কাউকো, আশিক, প্রীতমের মতো ফুটবলার রয়েছে, তারা অবশ্যই ভাল দল। ঘরের মাঠ বা বাইরের মাঠ নিয়ে তাদের কোনও সমস্যা হয় বলে মনে হয় না।
চারটির মধ্যে তিনটি ম্যাচেই হারের পর আপনি কতটা আশাবাদী?
আমাকে দেখে কি হতাশ মনে হচ্ছে? মরশুমে কুড়িটা ম্যাচ আছে। তার পরে প্লে অফ। কেউই অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর প্লে-অফে ওঠা বা চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে বলে মনে হয় না। আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। আমরা এখন ভবিষ্যতের জন্য ভিত গড়ছি। সে জন্য সময় লাগবে। তবে এই চারটি ম্যাচে আমরা উন্নতি করেছি। আরও উন্নতি করব। ফেব্রুয়ারির শেষে কী হবে, দেখা যাবে।
ফল যাই হোক না কেন, আজ যুবভারতীতে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গে কী বলবেন?
সরকারি হিসেব বলছে ৬২ হাজার দর্শক ছিল আজ স্টেডিয়ামে। আমার তো মনে হয় তার বেশিই ছিল। এত সমর্থক থাকলে ফুটবলাররা উজ্জীবিত হবেই। এই জন্যই তো আমরা ফুটবল খেলি। সে দিন আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আমরা চাপে ভুগছি কি না। আমি বলি, এটা আমাদের কাছে সন্মানের। এ রকম ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারাটা দারুন ব্যাপার। আশা করি পরের ম্যাচে আমরা জিততে পারব। ওটা নিশ্চয়ই আমাদের মরশুমের শেষ ম্যাচ হবে না।
কোনও ম্যাচে ৯৪ মিনিটে গোল খেয়ে হেরেছেন, কোনও ম্যাচে ৭২ মিনিটে গোল খেয়েছেন, এই ম্যাচে গোলকিপারের ভুলে হারতে হল। কোনও জায়গায় কি মনে হচ্ছে ভাগ্য আপনাদের সঙ্গে থাকছে না?
দেখুন, রেফারির কিছু কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে গিয়েছে, কিছু যায়নি। ভবিষ্যতেও সে রকমই হবে। এসব নিয়ে ভেবে লাভ নেই। শুরু থেকেই জানি একটা কঠিন দায়িত্ব নিয়েছি আমি। এত সমর্থকের এত আশা। এটা অবশ্য ভাল। এর ফলে উন্নতির তাগিদ থাকে। আজ প্রথমার্ধে গোটা দুয়েক গোল তো পেতেই পারতাম। আমরা পারিনি। এটিকে মোহনবাগান দুটো সুযোগ পেয়েছে, দুটোই কাজে লাগিয়েছে। এভাবেই আমরা শাস্তি পেয়েছি।
(লেখা আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google