সুরেশ রায়নার পরিবারের উপর হামলা ও খুনের দায়ে গ্রেফতার তিন

সুরেশ রায়নার পরিবারের উপর হামলাপঞ্জাবে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে দেখা করলেন সুরেশ রায়না। ছবি সুরেশ রায়নার টুইটার থেকে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সুরেশ রায়নার পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিল ডাকাতের একটি দল। পঞ্জাবের পঠানকোটে থাকতেন সুরেশ রায়নার কাকার পরিবার। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ল হামলাকারীরা। সেই আক্রমণে মৃত্যু হয় সুরেশ রায়নার কাকার। পুরো পরিবার গুরুতর আহত হয়। তার পর এক ভাইয়ের মৃত্যু হয় হাসপাতালে।

এই ঘটনার পর দিনই আইপিএল না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে দুবাই থেকে দেশে ফিরে আসেন সুরেশ রায়না। এর পরই তিনি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংকে ট্যাগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, যাতে এই দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়।  বুধবার সেই কাজেই অনেকটা এগোল স্থানীয় পুলিশ।

মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বুধবার জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত শেষ। পঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি দিনকর গুপ্তা জানান, স্থানীয় একটি ডাকাত দলের অংশ এরা। এই দলের আরও ১১ জন সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে সেই সময়ই রালানোর সময় চিনে ফেলা হয়। সবাইকে ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিন পঞ্জাবে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সুরেশ রায়না। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ খুব ভাল কাজ করেছে। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাবো আমাদের সাহায্য করার জন্য।’’

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এই কেসের তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন দলের উপর। এই সপ্তাহের শুরুতেই সন্দেহভাজনকে ধরার ছক তৈরি করে ফেলেছিল যাদের নাম সোয়ান, মুহব্বত ও শাহরুখ খান। সকলেই রাজস্থানের বাসিন্দা। পাঠানকোট রেল স্টেশনের কাছের একটি বস্তিতে থাকে সকলে। সেখানে অভিযান চালিয়ে দুটো কাঠের লাঠি, দুটো সোনার আংটি এবং ১৫৩০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

তারাই পুলিশকে জানিয়েছে, ওদের একটা গ্যাং রয়েছে যারা রাজ্য জুড়ে এই সব কাজ করে। পঞ্জাব ছাড়াও উত্তর প্রদেশ এমনকি জম্মু-কাশ্মীরেও তাদের লুঠপাট চলে। এবং তার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছল ক্যানেল বা রেল লাইন ধরে।

১৯-২০ অগস্টের যে রাতে রায়নার কাকার বাড়িতে এই গ্যাং হামলা চালায় সেই রাতে তারা  রায়নার কাকা অশোক কুমারের বাড়ির বাইরে একত্র হয়। দু’তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে তারা সেখানে ঢোকে। যাতে কোনওভাবে সন্দেহ না হয়। তবে সেই রাতে প্রথম দু’বার তারা সফল হয়নি। অশোক কুমারের বাড়ি ছিল তৃতীয় লক্ষ্য।

পাঁচজন সেদিন ওই বাড়িতে ঢুকেছিল। মই লাগিয়ে বাড়ির ভিতর ঢোকে তারা। এবং দেখে মেঝেতে পরিবাররে তিন জন ঘুমোচ্ছে। ঘুমন্ত অবস্থা্তেই তাদের মাথায় মারা হয়। এর পর বাকিদের উপরও আক্রমণ চালায় এবং টাকা, গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। বাড়ি ছাড়ার আগে আবারও তাঁদের মাথায় আঘাত করে। সেখান থেকে আবার দু’তিনটি দলে ভাগ হয়ে রেল স্টেশনে পৌঁছয় ডাকাতরা।

(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)