জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বেড়াতে কে না ভালবাসে। কিন্তু বাধ সাধে পকেট (Budget Hostels)। সব সময় ইচ্ছে থাকলেও সব কিছু সামর্থে কুলায় না। কম বাজেটে নিজের মনের মতো করে বেড়িয়ে আসাটা বেশ কঠিনই মনে হয়। কিন্তু যদি একটু সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় খুঁজে দেখা আয় তাহলে দেখা যাবে, যে কোনও বেড়ানো আপনার সাধ্যের মধ্যে চলে আসছে। বিশেষ করে কম বয়সী, ছাত্র, যাঁরা বাবার উপর নির্ভরশীল বা যাঁরা সোলো ট্রিপ করতে চান—তাঁদেরকে অনেকবেশি ভাবতে হয় বাজেট নিয়ে। ইচ্ছে করলেই বেরিয়ে পড়া যায় না। তবে একবার এই পথের হদিশ পেয়ে গেলে আর সমস্যা হবে না।
সব থেকে বেশি সমস্যা হয় থাকার জায়গায়। ভাল লোকেশন চাই, ভাল ঘর চাই, ভাল ভিউ চাই—এই সব দাবীর হয়তো সবটা পূরণ হবে না কিন্তু আবার ভাগ্য ভাল থাকলে সেটাও হয়ে যেতে পারে। তাই থাকার জন্য বেছে নিন হস্টেল। একা থাকলে ডর্মিটরি বুক করে নিন। ঘর নয় দিতে হবে শুধু বেডের ভাড়া। যা অনেক কম। দেশের বিভিন্ন বেড়ানোর জায়গায় রয়েছে এমন হস্টেল। জেনে নিন সেই সব হস্টেলের খোঁজ।
প্রথমেই বলি ইয়ুথ হস্টেলের কথা। ইয়ুথ হস্টেল একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। যে কারণে এখানকার ব্যবস্থাও যেমন ভাল তেমনই ভাড়াও কম। আর বহু বছরের পুরনো। ইয়ুথ হস্টেলের সদস্যপদ থাকলে তো কথাই নেই। ইয়ুথ হস্টেল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার অধিনে এই প্রতিষ্ঠানে যেমন রয়েছে ঘর তেমনই রয়েছে ডর্মিটরিও। যার ভাড়া ৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া রয়েছে একগুচ্ছ প্রাইভেট হস্টেল। সম্প্রতি তার বাড়বাড়ন্ত সাংঘাতিকভাবেই বেড়েছে। কারণ বেড়েছে চাহিদা।
প্রাইভেট হস্টেলের মধ্যে রয়েছে জসেল চেন। এর হস্টেল রয়েছে দিল্লি, যোধপুর, বেনারস, মুম্বই, উটি, গোয়ার মতো বিখ্যাত সব জায়গায়। যেখান থাকার জন্য বেসিক সব কিছুই পাওয়া যাবে। যেমন এসি ঘর রয়েছে তেমনই রয়েছে কো-অপারেটিভ রুম। যার ভাড়া ৬০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। এর পর বলি ব্যাকপ্যাকার্স পাণ্ডার কথা। এই সংস্থা তাদের প্রথম হস্টেল শুরু করে গোয়ায়। তার পরই তাদের সাফল্য ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পটে। তার মধ্যে রয়েছে মানালি, উদয়পুর, মুম্বইয়ের মতো জায়গা। এখানে থাকার খরচ আরও কম। যেখানে ঘরের সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যাবে খাবারও। এখানে থাকার খরচ ৩০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে।
গো স্টপসের নামও এখন সোলো ট্র্যাভেলারদের কাছে খুবই আকর্ষনীয় জায়গা। যার ইন্টিরিয়রও খুব ভাবনা-চিন্তা করে করা হয়েছে। যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করবেই। এদের হস্টেল রয়েছে বেনারস, ডালহৌসি, গোয়া, মুসৌরি, ঋষিকেশে। এখানকার স্টাফদের ব্যবহারও খুব বন্ধুত্বপূর্ণ। এক কথায় হোম অ্যাওয়ে হোম।
সবার শেষে যে সংস্থার নাম বলব তারা হল মুস্ট্যাচ। এটা বেশ আকর্ষনীয়। যেখানে ট্র্যাভেলাররা সারাদিনের ক্লান্তি কাটিয়ে ফেলতে পারবে রুফটপ কাফেতে বসে। কেউ যদি মনে করেন খাওয়াতেও টাকা বাঁচাবেন তাহলে সে এখানে রান্না করেও খেতে পারবেন। এছাড়া রয়েছে লন্ড্রি সার্ভিস, লিভিংরুম, যেখানে অপরিচিতরও বন্ধু হয়ে উঠবে। সোলো মহিলা ট্র্যাভেলাররাও এখানে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। ইতিমধ্যেই ১২টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে এই হস্টেল।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google