তালিবান দখলে গজনি, ৯০ দিনের মধ্যে কি কাবুলও, রফা চায় আফগান সরকার

তালিবান দখলে গজনিতালিবান দখলে গজনি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: তালিবান দখলে গজনি, বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি করেছে তারা। শহরের পরিত্যক্ত সেনা ঘাঁটির ছবিও প্রকাশ করেছে তালিবান। যে গতিতে তারা এগোচ্ছে, তাতে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী কাবুলও তালিবানদের হাতে চলে আসতে পারে। আর সেই রকম পরিস্থিতিতে আফগান সরকার তালিবানদের উদ্দেশে রফাসূত্র ছুড়ে দিল। ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দেওয়া হল আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির সরকারের তরফে।

আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহর গজনি। তালিবান দখলে গজনি চলে যাওয়ায় আফগান সরকারের রক্তচাপ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কাবুল থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে গজনি। সামরিক অবস্থানগত দিক থেকেও তার গুরুত্ব রয়েছে। আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী গুলাম ফারুক মাজরো জানিয়েছেন, এ বার সরকারের তরফে যুদ্ধ বিরতির জন্য ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তালিবানকে। অন্য দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রমশ পিছু হটছে আফগান বাহিনী।

বৃহস্পতিবার দোহায় এক বৈঠকে বসে প্রতিবেশী দেশগুলি। রাশিয়া, চিন, পাকিস্তানের সঙ্গে সেখানে ছিলেন ভারতীয় প্রতিনিধিরও।

ইতিমধ্যেই ফারা সিটি, পুল-ই- কুমরি এবং ফৈজ়াবাদ— পশ্চিম ও উত্তর আফগানিস্তানের এই তিনটি প্রাদেশিক রাজধানীর পতন হয়েছে। গজনিও সেই তালিকায় ঢুকে পড়ল। কুন্দুজের সেনা ঘাঁটি ও বিমানবন্দরও দখল করে নিয়েছে তালিবান। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের একটা বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে রাখা ক্রমশই কঠিন হয়ে পড়ছে আফগান সেনাবাহিনীর পক্ষে।

এই পরিস্থিতিতে বুধবার মাজার- ই-শরিফে গিয়েছিলেন আফগানিল্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। প্রসাসনিক সূত্রের মতে, তাঁর এই সফরের উদ্দেশ্য, সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়ানো। কিন্তু বিপদসঙ্কুল এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ও তাঁর শীর্ষ আধিকারিকদের জন্য মাজার কতটা নিরাপদ, সেই প্রশ্নও উঠছে।

অন্য দিকে, সেনাবাহিনীর একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সেনাপ্রধান জেনরেল ওয়ালি আহমেদজাইকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট গনি। নতুন দায়িত্ব পাচ্ছেন আফগান বাহিনীর ‘স্পেশাল অপারেশন কোর’-এর কমান্ডার হিবাতুল্লা আলিজাই।

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার দোহায় এক বৈঠকে বসে প্রতিবেশী দেশগুলি। রাশিয়া, চিন, পাকিস্তানের সঙ্গে সেখানে ছিলেন ভারতীয় প্রতিনিধিরও। আগামী ৩১ অগস্ট আমেরিকার ও ন্যাটো বাহিনী পুরোপুরি আফগানিস্তান থেকে চলে গেলে কী হবে, মূলত সে বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।

 

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)