জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত পুরো চিন। আরও একবার গোটা বিশ্বকে চোখ রাঙাচ্ছে সেই চিন। এ চিন থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল কোভিড-১৯-এর ভাইরাস করোনাভাইরাস। তার পরটা তো সকলেরই জানা। একের পর এক দেশে করোনাভাইরাসের শিকার হয়েছে। মৃত্যু মিছিল দেখেছে গোটা বিশ্ব। সবার আগে সুস্থ হয়েছে সেই চিনই। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ তেমনভাবে চিনকে সমস্যায় ফেলতে না পারলেও সম্প্রতি আবার নতুন করে চিনে থাবা বসিয়েছে কোভিডের সব থেকে বেশি সংক্রামক ভাইরাস ডেল্টা।
বেশ কিছুদিন ধরেই চিনে কোভিড সংক্রমণ নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল। তড়িঘড়ি তা আটকাতে জোন ধরে ধরে লকডাউনও শুরু হয়েছিল। এমন কী কোভিড সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসা এক ব্যক্তি শপিংমলে ঢুকে পড়ার খবরে পুরো শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল লোক থাকা অবস্থায়। সবাইকে পরীক্ষার পরই ছাড়া হয়েছে।
এর থেকে পরিষ্কার নতুন করে আর ঝুঁকি নিতে নারাজ চিন। তাই কঠোর ব্যবস্থার পথে প্রথম থেকেই হাঁটতে শুরু করে দিয়েছে। জানা গিয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সব থেকে বেশি ছড়িয়েছে উত্তর-পূর্ব প্রান্তের শহরগুলোতে। দ্রুত সেখানে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। অন্যান্য এলাকায় কিছুটা মন্থর তাও। ১৭ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে উপসর্গের ভিত্তিতে ১৩০৮ জনের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে সরকারি হিসেব বলছে। তার মধ্যে সামার ডেল্টা দেখা গিয়েছে ১২৮০ জনের মধ্যে।
ইতিমধ্যেই যে সব এলাকায় ঝুঁকি বেশি সেখানে ঘন ঘন পরীক্ষা করা হচ্ছে বাসিন্দাদের। লকডাউন করা হয়েছে ডালিয়ানে। ৪ নভেম্বর সেখানে প্রথম নতুন সংক্রমণে সংক্রমিতের খবর পাওয়া যায়। ডালিয়ানের আশপাশের শহর ড্যানডং, আনশান ও শেনিয়াংকেও সাবধান করা হয়েছে। যাঁরা ডালিয়ান থেকে ঢুকবে তাঁদের কোয়ারিন্টাইন থাকতে হবে ১৪দিন। তার পর পরীক্ষা করেই তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত পুরো চিনে ৯৮,৩১৫ জনের শরীরে কোভিড সংক্রমণধরা পড়েছে যাঁদের উপসর্গ রয়েছে। এছাড়া বিদেশ থেকে চিনে পৌঁছনো ৪,৬৩৬ জনের শরীরে কোভিড সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)