জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সকালে তৃণমূল পরিচালিত ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতা-কর্মীরা শহিদবেদিতে মালা দিয়েছিলেন। তাতে বেদি ‘অপবিত্র’ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তাই তেখালি থেকে মিছিল করে মহেশপুরের করপল্লির শহিদবেদিতে পৌঁছে নিজে হাতে বেদি ধুয়ে দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। অনুষ্ঠান শেষে গোবরজল দিয়ে এলাকা শুদ্ধ করার জন্য স্থানীয় মহিলাদের কাছে আহ্বান জানান শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “কিছু ছোটলোক সকালে এসে শহিদবেদিকে অপবিত্র করে গিয়েছে। আমাদের সভা শেষে এই এলাকার মায়েরা গোবরজল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করবেন। শহিদ তর্পণের নামে কিছু জেহাদিদের মঞ্চে এনে শুধু কুৎসা করে গিছেন কয়েক জন।” নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, “ওই নেতারা কোনও শহিদের নাম নেননি। শহিদ পরিবার সম্পর্কে কিছুই বলেননি। শুধু কুৎসা করে গেছেন।’’ শুভেন্দুর কথায়, “আসলে ওরা নন্দীগ্রাম আন্দোলন সম্পর্কে কিছু জানলে তবেই তো বলবে।”
এ দিন সকালে শুভেন্দুর উদ্দেশে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ যে মন্তব্য করেছেন তার কোনও জবাব না দিয়ে বিজেপি বিধায়কের দাবি, “আমি ওদের নাম ধরে ওদেরকে প্রচার করতে চাই না। ওরা তৃণমূলের কর্মচারী, চাকরবাকর। মুখ্যমন্ত্রী যে দিন কিছু বলবেন, সে দিন আমি বলব। বাকি এই সব কর্মচারীদের উত্তর দিতে আমি আসিনি আজকের এই পবিত্র দিনের মঞ্চে।” তিনি আরও বলেন, “ভরত, সেলিম, বিশ্বজিতের মতো ছেলেরা সর্বস্ব দিয়ে নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে সফল করেছিল। এই আন্দোলনকে বিশ্বের মাঝে তুলে এনেছিল নিজেদের জীবন দিয়ে। এই লোকগুলো বেইমান নয়, তাই শুভেন্দুর সঙ্গে আছে। এটাই আসল নন্দীগ্রাম।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “বিধানসভা নির্বাচনে যে ভাবে আমি নেতৃত্ব দিয়েছিলাম, পঞ্চায়েত ভোটে নন্দীগ্রামে আমিই নেতৃত্ব দেব। তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেব এখানকার মানুষ আমার সঙ্গেই আছে।’’
নন্দীগ্রামের বিশেষ শহিদ দিবসগুলিকে পালন করে আসছে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। গত বছর পর্যন্তও শুভেন্দু অধিকারীই ছিলেন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মধ্যমণি। তবে গত বছর এই ১০ নভেম্বরের শহিদ দিবসের দিন থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে আলাদা ভাবে গোকুলনগর হাইস্কুলের মাঠে শহিদ দিবস পালন করে একলা চলার বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার কিছু দিনের মধ্যেই বিজেপিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দেন তিনি।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)