শুক্রবার IPL 2025-এর পঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ বাতিলের পর দুই দলকে ধর্মশালা থেকে তো রওনা করিয়ে দেওয়া হয়েছিল দিল্লির উদ্দেশে তবে সেই পরিকল্পনা একদমই সহজ ছিল না। যা কিছুটা গোপনও রাখা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত পুরো দল জলন্ধর থেকে বিশেষ বন্দেভারত এক্সপ্রেসে রওনা দেওয়ার পরই পুরো বন্দোবস্তের কথা সামনে এসেছে। তার আগে পর্যন্ত কখনও শোনা যাচ্ছিল সরাসরি বাসে দিল্লি পৌঁছবে দুই দলের প্লেয়ার, কোচিং স্টাফ ও সম্প্রচার সংস্থার কর্মীরা। পরে আবার শোনা যায় তাদের জন্য বিশেষ বন্দেভারতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু ধর্মশালা থেকে তাঁরা কোন পথে গিয়ে বন্দেভারত ধরবে তা নিয়ে কোনও তথ্য বাইরে আসেনি। পুরো রুটটাই গোপন রাখা হয়েছিল নিরাপত্তার কারণে। এবং জানা যায় ছোট ছোট দলে সবাই স্টেশনে পৌঁছয় ট্রেন ধরার জন্য।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে হোশিয়ারপুর হয়ে দলে দলে জলন্ধর রেল স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয় সবাইকে, কাংড়ার পুলিশ সুপার শালিনী অগ্নিহোত্রী তথ্য জানিয়েছেন। দলগুলি বর্তমানে একটি বিশেষ ট্রেনে করে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে, তিনি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার পঞ্জাব এবং দিল্লির মধ্যে আইপিএল ম্যাচটি মাঝপথে বাতিল করা হয়েছিল যখন পাকিস্তান চণ্ডীগড়ের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে আকাশপথে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, যা আটকাতে ভারতের তরফেও পাল্টা জবাব দেওয়া হয়। “শুক্রবার সকালে, খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং সম্প্রচার কর্মী সহ উভয় দলের সবাইকে ধর্মশালা থেকে পঞ্জাব সীমান্তে অবস্থিত হোশিয়ারপুরে প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি ছোট গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়,” তিনি বলেন।
তিনি বলেন, কাংড়া পুলিশ এই কনভয়টিকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে নিয়ে যায় গন্তব্য পর্যন্ত এবং সব গাড়িসহ সকলে হোশিয়ারপুরে পৌঁছানোর পর পঞ্জাব পুলিশ সবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কাংড়া পুলিশের থেকে দায়িত্ব নেয়।সেখান থেকে পঞ্জাব পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনিতে, বিশেষ ট্রেনে ওঠার জন্য তাদের জলন্ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার ম্যাচের দিনের ঘটনার পর সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে অগ্নিহোত্রী বলেন, “২০ মিনিটের মধ্যে স্টেডিয়ামটি খালি করা হয়েছিল। আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল উপস্থিত সকলের নিরাপত্তা। উভয় দলের খেলোয়াড়দের তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল এবং কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাদের নিজ নিজ হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।”
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার ফলে তৈরি হয়েছে এই সামরিক সংঘর্ষ পরিস্থিতি। যেখানে ২৬ জন সাধারণ নাগরিক, যাদের ২৫ জনই ছিলেন ট্যুরিস্ট গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। যার ফলে শুক্রবার আইপিএল সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। আপাতত এক সপ্তাহের নোটিস জারি করা হয়েছে। পরবর্তীতে নতুন যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা জানানো হবে।
বিসিসিআই জানিয়েছে যে, সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসী হামলা এবং অযাচিত আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া জানাতে দেশ যখন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, তখন জাতীয় স্বার্থ অন্যান্য বিবেচনার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে আইপিএল ২০২৫।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google
