জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্রে ভেঙে পড়ল বিমান । গত কালই কপ্টার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে লেস্টার সিটির মালিকের। সেই ধাক্কা কাটতে না কাটতেই বড় ধাক্কা দিল আরও একটি বিমান দূর্ঘটনা। এ বার মৃত্যু হল বিমানের সব যাত্রীর। ১৮৯ জনকে নিয়ে জাভা থেকে উড়েছিল বিমানটি। কিন্তু ওড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ভেঙে পড়ে সমুদ্রে। মনে করা হচ্ছে ভেঙে পড়ে পুরো বিমানটিই ডুবে গিয়েছে সমুদ্রে।
ওড়ার পরই বিমানের সঙ্গে সব রকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য তার হদিশ পাওয়া যায়। ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকারী দলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, লায়ন এয়ার ফ্লাইট জেটি৬১০ বিমান বন্দর থেকে ওড়ার ১৩ মিনিট পরই তার সঙ্গে সব সংযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। সেই সময় সমুদ্রে থাকা একটি নৌকো সেই বিমানের ভেঙে পড়া দেখেছে।
মুখপাত্র ইউসুফ লতিফ বলেন, ‘‘এটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে।’’ জাভার সমুদ্রে ভাসতে দেখা গিয়েছে বিমানের চেয়ার ও বিমানের ভেঙে যাওয়া টুকরো। যেখান থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল সেখানেই এই জিনিসগুলো দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তবে কেউ বেঁচে আছেন কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। উদ্ধারকারীদের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা আশা করতে পারি, প্রার্থণা করতে পারি কিন্তু নিশ্চিত করে বলতে পারব না।’’
এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি, তবুও নামতে পারল না নিউ ইয়র্কে
বিমান ভেঙে পড়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার হলেই তা নিশ্চিত করে বলা যাবে। সমুদ্রের গভীরে উদ্ধারকাজ চালানোর মতো কঠিন কাজে নামার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জাকার্তায়। এর আগে ২০১৫-র ডিসেম্বরে জাভার সমুদ্রে ভেঙে পনেছিল এয়ার এশিয়ার এয়ারবাস। ফ্লাইটর্যাডার ২৪-এর ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, এই বিমানটি জাকার্তা থেকে সকাল ৬.২০ মিনিটে উড়েছিল। ৭.২০ মিনিটে তার পৌঁছনোর কথা ছিল বাংকা-বেলিটুং টিন মাইনিং অঞ্চলে। তাদের তরফে আরও খবর, বিমানটি ৫০০০ ফিট উচ্চতায় পৌঁছে কিছুটা নেমে আসে। কিন্তু তার পরই আবার ওছার চেষ্টা করে বেশ খানিকটা ওঠেও। কিন্তু তার পরই ভেঙে পড়ে। শেষ রেকর্ড হওয়া উচ্চতা ৩৬৫০ ফিট। সেই সময় স্পিড ছিল ৩৪৫ নটিক্যাল মাইল।
We’re following reports that contact has been lost with Lion Air flight #JT610 shortly after takeoff from Jakarta.
ADS-B data from the flight is available at https://t.co/zNM33cM0na pic.twitter.com/NIU7iuCcFu
— Flightradar24 (@flightradar24) October 29, 2018
লায়ন এয়ারের তরফে চিফ এক্সিকিউটিভ এডওয়ার্ড সিরায়েত বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে কিছু মন্তব্য করার জায়গায় নেই আমরা। আমরা চেষ্টা করছি সমস্ত তথ্য জোগার করতে।’’ এই লায়ন এয়ারের জন্ম ১৯৯৯ সালে। এর আগে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে ২০০৪এ। তবে তাতে ১৬৩ জনের মধ্য ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৩তেই দূর্ঘটনা হয়। ইতিমধ্যেই বিমান বন্দরে হাজির হয়েছে যাত্রী ও বিমানকর্মীদের পরিবারের লোকেরা।