জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আইএসএস ২০২০-২১, খুশি হাবাস দলের খেলায়। গতবার এই বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়েই হিরো আইএসএলের ফাইনালে উঠেছিল তাঁর দল। এ বার সেই বেঙ্গালুরুর সঙ্গে প্রথম দ্বৈরথেই কিস্তিমাত করে বেশ খুশি এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। সহজে তৃপ্ত হন না যিনি, সোমবার ফতোরদার ম্যাচের পরে সেই হাবাস বলছেন, এই জয় বেশ তৃপ্তিদায়ক।
মোহনবাগান কোচ লোপেজ হাবাসের মতে
জয়ের তৃপ্তি
অবশ্যই এই জয়টা খুব তৃপ্তিদায়ক। বেঙ্গালুরুর মতো দলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে তিন পয়েন্ট তুলে আনাটা যথেষ্ট কঠিন কাজ। ওরা সেমিফাইনাল, ফাইনালে ওঠার কথা মাথায় রেখেই খেলে। তাই এই ম্যাচে জেতাটা অবশ্যই মনে রাখব। বেঙ্গালুরু যথেষ্ট সমীহ করার মতো দল। প্রতিপক্ষ হিসেবে ওরা যথেষ্ট কঠিন। লং বল, থ্রো, ফ্রি-কিক, কর্নার সব দিক থেকেই ওরা বিশেষজ্ঞ। তবে আমাদের পারফরম্যান্স আজ একেবারে নিখুঁত হয়েছে।
প্রতিপক্ষের খেলার উপর পরিকল্পনা
আমরা কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর খেলা খেলি এই অভিযোগটা একদম মিথ্যে। আজ আমরা মোটেই সে রকম খেলিনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিপক্ষকে চাপে রেখেছিলাম। এটা নির্ভর করে প্রতিপক্ষ কেমন খেলছে, তাদের কী পরিকল্পনা, ম্যাচের পরিস্থিতি, কী স্কোর—এ সবের ওপর। কেউই আগে থেকে ঠিক করা পরিকল্পনা নিয়ে পুরো ম্যাচ খেলে না। পরিস্থিতির সঙ্গে পরিকল্পনাও বদলায়।
বিশ্রাম জরুরী
আগামী সাত দিনে আশা করি আমার সব খেলোয়াড়রা যথেষ্ট বিশ্রাম পেয়ে পুরোপুরি চাঙ্গা হয়ে যাবে। এই ম্যাচের আগে আমরা মাত্র চার দিন সময় পেয়েছিলাম। রিকভারিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন চোটের তালিকায় শুধু হাভি (হার্নান্ডেজ) রয়েছে। আশা করি ও এই এক সপ্তাহে পুরোপুরি সেরে উঠবে। চারটে ম্যাচের পরে আমরা একটু লম্বা সময় পাচ্ছি পরের ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য। পরের ম্যাচেও আমাদের পারফরম্যান্স এই স্তরেই রাখতে হবে। এই সময়টা পেয়ে তাই ভালই হল।
প্রতিপক্ষ কোচের কার্লোস কুয়াদ্রাত মতে
এটিকে মোহনবাগান প্রসঙ্গ
একেবারেই তা নয়, ওরা গোয়ার বিরুদ্ধেও একই খেলা খেলেছিল। আমাদের বিরুদ্ধেও ওরা এমনই খেলবে ধরে নিয়েই নিজেদের প্রস্তুত করেছিলাম। আমরাই ওদের সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম। তবে ওরা খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। ওরা ফিজিক্যাল অ্যাডভান্টেজ খুব সুন্দর ভাবে কাজে লাগায়। এই ব্যাপারগুলোই ওদের সাহায্য করেছে।
দলের লড়াই
ছোটখাটো কয়েকটা ব্যাপারই তফাৎ গড়ে দেয়। ওদের রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে, যারা আজ ভাল খেলেছে। ওরা সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছে, যা আমরা পারিনি। এতেই তফাৎ হয়ে গিয়েছে। ২১ দিনে পাঁচটা ম্যাচ খেলতে হল আমাদের। খুব কঠিন সময় পেরিয়ে এলাম আমরা। তাই কয়েকজন নতুন খেলোয়াড়কে আজ নামিয়েছিলাম। তবে আমি খুশি যে ছেলেরা সমতা আনার জন্য ৯৫ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করেছে।
গোলের সুযোগ
আমাদের অ্যাটাকাররা বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ঠিকই, কিন্তু এটিকে মোহনবাগানও যে প্রচুর সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে, তা কিন্তু নয়। ম্যাচটা কঠিন ছিল। ০-০, ১-০, ০-১ যে কোনও স্কোর হতে পারত। ওরা আগে গোল পাওয়ায় অনেকটা চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পেরেছে। যেটা আমরা পারিনি। আমাদের গোল শোধ করার চাপ নিয়ে সারাক্ষণ খেলতে হয়। ওরা গোল পেয়ে যাওয়ার পর ওদের ডিফেন্স লাইন-আপ ভাঙা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছিল”।
(লেখা আইএসএল-এর ওয়েবসাইট থেকে)
(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
